নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ অর্থাৎ উনার পবিত্র জন্মদিন মুবারক , পবিত্র শবে কদর শরীফ হতেও বেশি ফযিলত ও তাৎপর্যের দাবিদার
উপমহাদেশের বিখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত শাহ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিখ্যাত ও সমাদৃত কিতাব " মাসাবাতা বিস সুন্নাহ " শরীফ কিতাবে বর্ণিত বর্ণনা করেন , কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ অর্থাৎ উনার পবিত্র জন্মদিন মুবারক , পবিত্র শবে কদর শরীফ হতেও বেশি ফযিলত ও তাৎপর্যের দাবিদার । এর পক্ষে তিনি কয়েকটি যুক্তি ও কারণ উপস্থাপন করেন ।
প্রথমত: শবে বিলাদত শরীফ হলো হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সত্তার প্রকাশ রজনী আর শবে কদর হলো উনাকে দানকৃত একটি পবিত্র রজনী ।অতএব শবে কদর হতে ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি ফযিলতপূর্ণ ।
দ্বিতীয়ত: হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনার অবতীর্ণ হয় বলে শবে কদরের মর্যাদা । আর প্রিয় নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমনের কারণে হয়েছে পবিত্রত শবে বিলাদত শরীফ উনার ফযিলত ও বুযূর্গী ।
তৃতীয়ত: পবিত্র শবে কদর শরীফ কেবল উম্মতে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উপর ফদ্বল ও করম অবতীর্ণ হয় । আর পবিত্র শবে বিলাদত শরীফে সমগ্র সৃষ্টির উপর রহমত ও বরকত নাযিল হয় । সুতরাং এ দিন অন্যান্য দিন অপেক্ষা অত্যাধিক বরকত ও রহমতপূর্ণ । এমনকি পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ মাসের ফযিলত এ মাসের ( পবিত্র বরিউল আউওয়াল শরীফ) তুলনায় কম । কারণ পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ বুযূর্গীর দাবিদার । এ জন্য যে, এ মাসে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ অবতীর্ণ হয় । পক্ষান্তরে পবিত্র বরিউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার বুযূর্গী হচ্ছে - এ মাসে ছাহিবে করআন (কালামুল্লাহ শরীফ) হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাশরীফ মুবারক এনেছেন ।
সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।