>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১

ইসলামের দৃষ্টিতে ক্বদম বুছির জায়েজ না নাজায়জ?

ক্বদম বুছির গুরুত্বপূর্ণ  দলিলসমূহ


 কদম শব্দের অর্থ হচ্ছে পা  আর  বুছি শব্দের অর্থ চুম্বন করা ! অর্থাৎ দ্বীনদ্বার পরহেজগার, সম্মানিত ব্যক্তি, পিতা-মাতা ইত্যাদি উনাদের পায়ে চুম্বন দেয়াকে শরীয়তে কদমবুছী বলে। এই কদমবুছী খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কদমবুছী করেছেন ।আবার এক ছাহবী অন্য ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার কদমবুছী করেছেন । এ প্রসঙ্গে অনেক হাদীস শরীফ বর্নিত আছে ।
সহীহ হাদীস শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়-
ﻋﻦ ﻭﺍﺯﻉ ﺑﻦ ﺯﺍﺭﻉ ﺭﺿﻴﺎﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺟﺪﻫﺎ ﻭﻛﺎﻥ ﻓﻲ ﻭﻓﺪ ﻋﺒﺪ
ﺍﻟﻘﻴﺲ ﻗﺎﻝ ﻟﻤﺎ ﻗﺬﻣﻨﺎ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻓﺠﻌﻠﻨﺎ ﻧﺘﺒﺎﺩﺭ ﻣﻦ ﺭﻭﺍﺣﻠﻨﺎ ﻓﻨﻘﺒﻞ
ﻳﺪ ﺭﺳﻮﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻭ ﺭﺟﻠﻪ
অর্থ মুবারক : হযরত ওয়াজে ইবনে যারে উনার দাদা হতে বর্ননা করেন, আর তিনি ছিলেন আব্দুল কায়েস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন ,
"আমরা যখন মদীনা শরীফে আসতাম, তখন আমরা আমাদের সাওয়ারী হতে তাড়াতাড়ি অবতরন করে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত এবং পা মুবারকে চুম্বন করতাম।"
দলীলসমূহ:
০১.  আবু দাউদ শরীফ-কিতাবুস সালাম-২য় খন্ড-৭০৯পৃষ্ঠা- হাদীস ৫২২৫ !
০২. মিশকাত শরীফ- কিতাবুল আদব- মুছাফাহ ও মুয়ানাকা অধ্যায়- হাদীস নম্বর ৪৬৮৮।
০৩ ফতহুল বারী ১১ খন্ড- ৫৭ পৃষ্ঠা !
০৪. মিরকাত শরীফ ৭ম খন্ড ৮০ পৃষ্ঠা।
০৫. মুছান্নাফে আবী শায়বা ।
০৬.বায়হাকী শরীফ।
০৭.কানযুল উম্মাল শরীফ।
০৮.তাফসীরে তাবারী।
০৯. বজলুল মাজহুদ ৬ ষ্ঠ খন্ড ৩২৮ পৃষ্ঠা।
১০.মায়ালিমুস সুনান।
১১. আইনুল মা'বুদ লি হল্লি মুশকালাতি সুনানী আবু দাউদ।
১২. আশয়াতুল লুময়াত
১৩. এলাউস সুনান ১৭ তম খন্ড ৪২৬ পৃষ্ঠা
কদমবুছী সম্পর্কে হাফিজে হাদীস আল্লামা কাজী আয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং হাফিজে হাদীস আল্লামা নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা উনাদের স্বস্ব কিতাবে একখানা বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ বর্ননা করেন:-
ﻋﻦ ﺑﺮﻳﺪﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻓﺎﺀﺫﻥ ﻟﻲ ﺍﻗﺒﻞ ﻳﺪﻳﻚ ﻭﺭﺟﻠﻴﻚ -
ﻓﺎﺫﻥ ﻟﻪ ﺍﻱ ﻓﻲ ﺗﻘﺒﻴﻞ ﻳﺪﻳﻪ ﻭﺭﺟﻠﻴﻪ - ﻓﻘﺒﻠﻬﻤﺎ
অর্থ মুবারক : "হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, তিনি বলেন, (গাছের সিজদা দেয়ার ঘটনার পর) আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আমাকে আপনার উভয় হাত মুবারক এবং পা মুবারক বুছা বা চুম্বন দেয়ার অনুমতি দিন। তখন উনাকে উভয় হাত মুবারক এবং পা মুবারক চুম্বন দেয়ার অর্থাৎ কদমবুছী করার অনুমতি দেয়া হলে, তিনি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারক এবং কদম মুবারক চুম্বন করলেন।"
দলীলসমূহ-
 নাসীমুর রিয়াজ শরহে কাজী আয়াজ ৩য় খন্ড ৫০ পৃষ্ঠা ।
কিতাবুল আযকার লিন নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
ছিয়াহ সিত্তার নির্ভরযোগ্য কিতাব সমূহে আরো একটি হাদীস শরীফ বর্নিত আছে।
হযরত সাফওয়ান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত একটি দীর্ঘ হাদীস শরীফ। একবার দু'জন লোক হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাক্ষাৎ মুবারককরার জন্য আসলো। তারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে কিছু জানতে চাইলো, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সব বিষয় সমূহের জবাব দান করলেন।
জবাব পাওয়ার পরের বিষয় সম্পর্কে হযরত সাফওয়ান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন--
ﻗﺎﻝ ﻓﻘﺒﻼ ﻳﺪﻳﻪ ﻭ ﺭﺟﻠﻴﻪ ﻭ ﻗﺎﻻ ﻧﺸﻬﺪ ﺍﻧﻚ ﻧﺒﻲ
অর্থ মুবারক: হযরত সাফওয়ান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, অতঃপর তারা উভয়ে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারক এবং কদম মুবারক চুম্বন করলো এবং বললো, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, নিশ্চয়ই আপনি আল্লাহ পাক উনার নবী।"
দলীল-
০১. মিশকাত শরীফ -কিতাবুল ঈমান- বাবুল কাবায়ের ওয়া আলামাতুন নিফাক- দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ- ৫১ নং হাদীস শরীফ।
০২. তিরমীযি শরীফ ।
০৩ .আবু দাউদ শরীফ।
০৪. সুনানু নাসায়ী শরীফ।
০৫. তুহফাতুল আহওয়াযী।
০৬. সুনানুন নাসায়ী বি শরহিস জালালুদ্দীন সূয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
এছাড়া এক ছাহাবী অন্য ছাহবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার কদমবুছী করেছেন তার দলীল--
ﻋﻦ ﺯﻳﺪﺑﻦ ﺛﺒﺖ ﺍﻧﻪ ﻗﺒﻞ ﻳﺪ ﺍﻧﺲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻭﺍﺧﺮﺝ ﺍﻳﻀﺎ
ﺍﻥ ﻋﻠﻴﺎ ﻗﺒﻞ ﻳﺪ ﺍﻟﻌﺒﺎﺱ ﻭ ﺭﺟﻠﻪ
অর্থ মুবারক : "হযরত যায়েদ বিন সাবিত রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,তিনি হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার হাত মুবারকে চুম্বন করেছেন। তিনি এটাও বর্ননা করেছেন যে , আমীরুল মু'মিনীন, খলিফাতুল মুসলিম, আসাদুল্লাহিল গালিব, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সলাম উনার হাত মুবারক এবং পা মুবারকে চুম্বন করেছেন !"
দলীলসমূহ-
০১. ফতহুল বারী- ১১খন্ড-৫৭পৃষ্ঠা !
০২. তোহফাতুল আহওয়াযী শরহে তিরমীযি শরীফ ৭ম খন্ড ৫২৮ পৃষ্ঠা।
০৩.ফিকহুস সুন্নাহ ওয়াল আসার।
উল্লিখিত হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত হলো কদমবুছী করা খাছ সুন্নতে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার অন্তর্ভুক্ত। আর সুন্নতে ছাহাবায়ে কিরাম অনুসরন সম্পর্কে সহীহ হাদীস শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে -
ﻋﻦ ﺍﻟﻌﺮﺑﺎﺽ ﺑﻦ ﺳﺎﺭﻳﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺻﻠﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺑﺴﻨﺘﻲ ﻭ ﺳﻨﺔ ﺍﻟﺨﻠﻔﺎﺀ ﺍﻟﺮﺍﺷﺪﻳﻦ
ﺍﻟﻤﻬﺪﻳﻦ ﺗﻤﺴﻜﻮﺍ ﺑﻬﺎ ﻭ ﻋﻀﻮﺍ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺑﺎﻟﻨﻮﺍﺟﺬ
অর্থ মুবারক : হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের জন্য আমার সুন্নত এবং আমার খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত অবশ্যই পালনীয় ! তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরো !""
দলীলসমূহ--
০১. সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস শরীফ নং ৪২
০২. তিরমিযী শরীফ, হাদীস শরীফ নং ২৬৭৬
০৩. আবু দাউদ শরীফ, হাদীস শরীফ নং ৪৬০৭
০৪. মুসনাদে আহমাদ শরীফ ৪/১২৬
নিজের মায়ের কদমবুছী সম্পর্কে হাদীস শরীফে আরো এসেছে--
ﻣﻦ ﻗﺒﻞ ﺭﺟﻞ ﺍﻣﻪ ﻓﻜﺎﻧﻤﺎ ﻗﺒﻞ ﻋﺘﺒﺔ ﺍﻟﺠﻨﺔ
অর্থ মুবারক : যে ব্যক্তি তার মায়ের পায়ে চুম্বন দিলো , সে যেন জান্নাতের চৌকাঠে চুম্বন দিলো !"(মাবসূত লিল সারাখসী ১ম খন্ড ১৪৯ পৃষ্ঠা।)
উক্ত দলীল আদিল্লা থেকে স্পষ্ট বোঝা গেল কদমবুছী করা খাস সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত |
সুবহানাল্লাহ্ !
শুধু তাই নয়, বিখ্যাত ইমাম মুস্তাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের জীবনীতেও কদমবুছীর ঘটনা পাওয়া যায়।
যেটা কিতাবে বর্নিত হয়েছে-
১ নং হাদীস শরীফ:
ﺍﻣﺎﻡ ﻣﺴﻠﻢ ﺑﻦ ﺣﺠﺎﺝ ﻛﺎ ﻭﺍﻗﻐﻪ ﺟﻮ ﺍﻣﺎﻡ ﺑﺨﺎﺭﻱ ﮐﮯ ﺳﺎﺗﮫ ﭘﻴﺶ
ﺍﻳﺎﻛﻪ ﺍﻣﺎﻡ ﻣﺴﻠﻢ ﻧﮯ ﺍﻣﺎﻡ ﺑﺨﺎﺭﻱ ﻛﯽ ﭘﻴﺸﺎﻧﯽ ﻛﻮ ﺑ১নং হাদীসঃ
عن زارع وكان فى وفد عبد القيس قال لما قدمنا المدينة وجعلنانتبادر من رواحلنا فنقبل يد رسول الله صلى الله عليه وسلم ورجله
অর্থ মুবারক :হযরত যারেঈ রাদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু যিনি আব্দুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, আমরা যখন মদিনা শরীফে আগমন করলাম তখন আমাদের বাহন হতে তাড়াতাড়ি নেমে পড়লাম এবং নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারক ও পা মুবারক  চুম্বন করলাম।( আবূ দাউদ শরীফের সূত্রে মিশকাতুল মাসাবীহ, পৃষ্ঠা: ৪০২
)
২ নং হাদীস শরীফ:  عن صفوان بن عسال ان قوما من اليهود قبلوا يد النبى صلى الله عليه وسلم ورجله
অর্থ মুবারক:  হযরত ছাফওয়ান বিন আসলাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই ইয়াহুদীদের একটি গোত্র হুজুর এ পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’র হাত ও পা মোবারক চুম্বন করে।
(ইবনে মাজাহ পৃ: ২৯২।)
৩ নং হাদীস শরীফ:
হযরত বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন-
سأل أعربى النبى صلى الله عليه وسلم أية فقال له قل لتلك الشجرة رسول الله صلى الله عليه وسلم يدعوك فقال فمالت الشجرة عن يمينها وشمالها وبين يديها وخلفها فقطعت عروقها ثم جاءت يتخذ الارض تجر عروقها مغبرة حتى وقعت بين يدى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال له السلام عليك يا رسول الله قال الاعرابى مرها فلترجع الى منبتها فرجعت فدلت عروقها فاستوت فقال الاعربى ائذن لى اسجد لك قال لو أمرت احدا ان يسجد لاحد لامرت المرأة ان تسجد لزوجها قال فأذن لى ان اقبل يديك ورجليك فاذن له
অর্থ মুবারক:, একজন বেদুঈন হুজুর এ পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে মুজিযা দেখতে চাইল, হুজুর এ পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেদুঈনকেইরশাদ মুবারক করলেন ওই বৃক্ষটাকে বলো মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাকে ডাকছেন, সে যখন বললো বৃক্ষ তার ডানে-বামে, সম্মুখে পেছনে ঝুকল তখন ওটার শিকড়গুলো ভেঙ্গে গেল। তারপর তা মাটি খোদাই করে শিকড়গুলো টেনে বালি উড়িয়ে হুজুর এ পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মুখে এসে দাঁড়াল এবং বলল আস্সালামু আলাইকা ইয়া রসূলাল্লাহ  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! বেদুঈন বললো “আপনি তাকে আদেশ করুন যেন এটা ওখানে (উৎপত্তিস্থল) ফিরে যায়” উনার নির্দেশে ওটা ফিরে গেল এবং তার শেকড়গুলোর উপর গিয়ে সোজা হয়ে দাড়ালো। বেদুঈন বললো “আমাকে অনুমতি দিন আমি আপনাকে সিজদা করবো” তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, “যদি কাউকে সিজদাহ করার হুকুম দিতাম তাহলে স্ত্রীকে আদেশ দিতাম সে যেন তার স্বামীকে সিজদাহ করে।” বেদুঈন লোকটি আরজ করলো “হুযুর তাহলে আমাকে আপনার হস্ত ও পদদ্বয় মোবারক চুম্বন করার অনুমতি দিন” তিনি (নবীজী দঃ) তাকে অনুমতি প্রদান করলেন।
(শিফা শরীফ, দালাইলুন্নুবয়্যাহ আবু না’ঈম, পৃষ্ঠা- ৩৩২।)
৪ নং হাদীস শরীফ
روى عن النبى صلى الله عليه وسلم كان يقبل فاطمة ويقول اجد منها ريح الجنة وقبل ابو بكر رأس عائشة وقال النبى صلى الله عليه وسلم من قبل رجل امه فكان قبل عنبة الجنة
অর্থ মুবারক: হুযূর নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম (নবীজীর স্নেহের কন্যা)উনাকে চুমু মুবারক খেতেন আর তিনি বলতেন আমি সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার কাছ থেকে বেহেশতের সুঘ্রান পাচ্ছি। আমীরুল মু'মিনীন , খলীফাতুল মুসলিমীন, আফদ্বালুন নাস বা'দ্বাল   আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদাতুনা  হযরত আয়েশা আলাইহাস সালাম উনার মাথা মুবারক এ চুমু খেয়েছেন। আর প্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবাক করেন- যে ব্যক্তি তার মায়ের পা চুম্বন করবে সে যেন বেহেশতের চৌকট চুমু খেল।
( মাবসুত লিস সারাখছি, খন্ড-১০, পৃষ্ঠা: ১৪৯)
৫ নং হাদীস শরীফ
عن ذكوان عن صهيب قال رايت عليا يقبل يد العباس ورجله
অর্থ মুবারক:  হযরত যাকওয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু হযরত ছুহাইব সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার (স্বীয় চাচা) সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম উনার  হাত মুবারক ও পা মুবারক চুম্বন করতে দেখেছি।
(মিশকাত শরীফ)
ফোক্বাহায়ে কেরাম ও মুহাদ্দিসীনে এজামদের থেকে
হযরত আল্লামা ইমাম আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قال الامام العينى بعد كلام فعلم اباحة تقبيل اليد والرجل والرأس كما علم من احاديث المتقدمة اباحتها على الجبهة وعلى العينين وعلى الشفتين على وجه المبرة والكرام
  হযরত আল্লামা আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন দীর্ঘ আলোচনার পরে হাত চুম্বন, কদমবুচি, মাথা বুচি, ও ইত্যাদির বৈধতা প্রমানিত হলো। যেভাবে বর্ণিত হাদীস হতে কপালে, দুই চোখের মাঝে, দু’ঠোটের উপরে চুমু দেয়ার বৈধতা প্রমাণিত হল, তবে এ সকল ক্ষেত্রে চুম্বন তখন জায়েয যখন সম্মান ও বরকত হাসিল উদ্দেশ্য হয়।
(রদ্দুল মোখতার, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা- ৩৮০।)
হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
لا يكره التقبيل لزهد وعلم وكبرسن -قال النبوى رحمةالله تعالى عليه تقبيل اليد للغير ان كان لعلمه وصيانته وزهده وديانته ونحو ذالك من الامر الدينيه لم يكره بل يستحب
অর্থাৎ, তিনি বলেন, চুমু দেয়া মাকরুহ হবেনা যখন তা কোন পরহেজগারিতা, ইলম বা জ্ঞান ও বয়োযষ্ঠের কারনে হবে। ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হাত চুম্বন, যদি ব্যক্তির জ্ঞানগত মার্যাদা, খোদা ভীরুতা ও ধামির্কতা ইত্যাদি কারনে হয় তাহলে মাকরুহ তো হবে না; বরং মুস্তাহাব বা উত্তম আমল হিসেবে বিবেচিত হবে।
(মিরকাত, খন্ড ৯ম, পৃঃ ৭৬)।
বুখারী শরীফ উনার ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘ফতহুল বারী’ এর মধ্যে হযরত আল্লামা ইবনে হাজর আল আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
والحديث يدل على جواز تقبيل اليد والرجل -وقال الابهرى انما كرهها مالك اذا كانت على التعظيم والتكبر واما اذا كانت على وجه التقرب الى الله تعالى لدينه اولعلمه او لشرافته فان ذالك جائز-
অর্থাৎ, (তিনি বলেন) হাদীস শরীফ দ্বারা হাতবুচি ও কদমবুচির বৈধতা ও অনুমোদন প্রমাণিত। তবে ইমাম মালেক ও ইমাম আবহারী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুমা এগুলিকে মাকরুহ বলেছেন যদি বড়ত্ব আহমিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য হয়। কিন্তু যদি মহান আল্লাহ তা’য়ালার নৈকট্যবান বান্দা বা জ্ঞানগত
সম্মান ও মর্যাদার কারনে হয় তাহলে উহা নি:সন্দেহে জায়েয।
( ফতহুল বারী শরহে বুখারী, খন্ড- ১কদমবুছী করা বা নেওয়া পবিত্র সুন্নতে হযরত ছাহাবা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু)
খালিক, মালিক রব আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন ইরশাদ মুবারক করেন,
فليحذر الذين يخالفون عن امره ان تصيبهم فتنة اويصيبهم عذاب اليم.
অর্থঃ- “সুতরাং যারা উনার (হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার) আদেশের বিরোধীতা করে, তাদের ভয় করা উচিত যে, তাদের উপর এসে পড়বে কোন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” (সূরা নূর/৬৩)
সুন্নতে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
 
عن وازع بن زترع عن جدهاوكان فى وقد عبد القيس قال لماقد مناالمد ينة فجعلنا نتبادر من وراحلنا فنقبل يد رسول الله صلى الله عليه وسلم ورجله.(ستن ابودود ج2 صفه7،
অর্থঃ- হযরত ওয়াযে ইবনে যারে উনার দাদা হতে বর্ণনা করেন মুবারক করেন। তিনি বলেন, আমরা আব্দুল কায়স গোত্রে থাকা অবস্থায় যখন মদীনা শরীফ আসতাম, তখন আমরা সাওয়ারী হতে তাড়াতাড়ী অবতরন করে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাত মুবারক ও পা মুবারক বুছা (চুম্বন) দিতাম। (আবু দাউদ শরীফ জিঃ ২ পৃষ্ঠা ৭০৯

সুতরাং উপরোক্ত,  পবিত্র আবু দাউদ শরীফ উনার কিতাব দলীল দ্বারাই এটা স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় যে, কদমবুছী, দস্তবুছী স্থান, কাল, পাত্র বিশেষে শুধু জায়েযই নয়, পবিত্র সুন্নতে ছাহাবা কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু । কুফরী,শিরক  বলা জাহান্নামী হওয়ার কারণ।

শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১

শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক

 শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে  মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক


খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন :

 " অবশ্যই সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ।" ( মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুরা আল ইমরান শরীফ : মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  আয়াত শরীফ ১৪৪)

মহান আল্লাহপাক জাল্লাশানুহু আমাদের জন্য তথা তামাম আলমের জন্য তিনি উনার হাবীব নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উছীলায়ে কুবরা তথা সবচেয়ে বড় উছীলা বানিয়েছেন । সুবহানাল্লাহ্ । খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কেন্দ্রীয় অবস্থানে রেখে তামাম আলমের কাজ সুসম্পন্ন করেন । নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একাধারে আগমন ( পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক ) ও তিরোধান ( পবিত্র বিছালী শান মুবারক ) তামাম আলমের জন্য খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক , ফজল ও করম মুবারক স্বরুপ । সারা বিশ্বে খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব পাক ছললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জাত পাক মুবারক সীরাত, সুরাত মুবারক উনাকে গুরুত্বসহকারে অনুধাবন করার  জন্য সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গুরুত্বসহকারে পালন করে আসছেন সম্মানিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সম্মানিত ইমামগন । মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ , ইজমা শরীফ ও কিয়াস শরীফ মোতাবেক এই আনুষ্ঠানিকতা সু্ন্নতে উম্মতে মুস্তাহসান । উনার উছীলায় বিশ্ব মুসলিম নানাভাবে খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনার অর্থাৎ উনাদের সন্তুষ্টি-রেজামন্দি মুবারক হাসিলের সুযোগ পায় ।

খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন :

" আপনার প্রতিপালকের নিয়ামত বর্ণনা করুন ।" ( মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুরা দ্বোহা  শরীফ : মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  আয়াত শরীফ ১১)

অন্যত্র খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন :

 " ( হে  রসূল  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম !)  আপনি বলে দিন খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত মুবারকের জন্য  তারা যেন আনন্দ ( খুশি/ঈদ) প্রকাশ করে ।"  ( মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুরা ইউনূস  শরীফ : মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  আয়াত শরীফ ৫৮)

এখানে খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক মূলত্বঃ উনার হাবীব পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।কেননা খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন :

" আমি( খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক )  আপনাকে (  রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) তামাম আলমের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি ।" ( মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুরা আম্বিয়া শরীফ : মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  আয়াত শরীফ ১০৭)

সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আয়োজন , আনুষ্ঠানিকতা কেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনাষ মাশায়েখগণ মুহব্বতের সাথে করে থাকেন তা গভীর ভাবে উপলব্ধি করার জন্য নিন্মে বর্ণিত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মহান বুজুর্গ গণের ক্বওল শরীফ মুবারক সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। 

০১.সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:

  সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম খলিফা আমীরুল মু'মিনীন , খলীফাতুল মুসলিমীন, আফদ্বালুন নাস বা'দ্বাল   আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন:

" যে ব্যক্তি শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ পাঠ (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষ্যে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে জান্নাত আমার ( সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম) বন্ধু হয়ে থাকবে ।"সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

০২.  সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ'যম আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:

 সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দ্বিতীয় খলিফা  আমীরুল মু'মিনীন , খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ'যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন: 

" যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস)  উনাকে বিশেষ মর্যাদা দিল সে মুলত্বঃ ইসলামকেই পূনরূজীবিত করল।" "সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

০৩. সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নুরাঈন আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ মুবারক: 

 সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তৃতীয় খলিফা  আমীরুল মু'মিনীন , খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নুরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন : 

" যে ব্যক্তি  ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করল সে যেন বদর ও হুনাইনের যুদ্ধে শরীক থাকল । " "সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

০৪. হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ মুবারক: 

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার চতুর্থ খলিফা আমীরুল মু'মিনীন, খলিফাতুল মুসলিম, আসাদুল্লাহিল গালিব, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বলেল: 

"  যে ব্যক্তি  ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার প্রতি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করল সে ব্যক্তি অবশ্যই ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে এবং বিনা হিসেবে জান্নাতে  প্রবেশ করবে ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

০৫. ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক: 

 ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন :

" আমার ( হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি) একান্ত ইচ্ছা হয় যে , আমার ( হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি)  যদি উহূদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ থাকত তাহলে তা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষ্যে ব্য়য় করতাম ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

০৬. সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক: 

সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: 

" যে ব্যক্তি  ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার আয়োজনে উপস্থিত হলো এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করলো। সে তার ঈমানের দ্বারা সাফল্য লাভ করবে অর্থাৎ সে বেহেশ্তী হবে ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

০৭. হযরত মারূফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক: 

হযরত মারূফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: 

"  যে ব্যক্তি  ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষ্য খাদ্যের আয়োজন করে, অতপর লোকজন কে জমা করে , মজলিশে আলোর ব্যবস্থা করে , পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নতুন লেবাস পরিধান করে, ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার তাজিমর্থে সু-ঘ্রাণও সুগন্ধি ব্যবহার করে ।খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তাকে হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম গণের প্রথম কাতারে হাশর করাবেন এবং সে জান্নাতের সুউচ্চ মাকামে অধিষ্ঠি হবে।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

০৮. ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক: 

ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন:

" যে ব্যক্তি  মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করে লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্য দ্রব্যের উপর ফুঁক দেয় ,তাহলে এই খাদ্য দ্রব্যে অবশ্যই বরকতপ্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপর পাঠ করুক না কেন। ( তাতে বরকত হবেই)।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন:

" উক্ত মুবারক খাদ্য মীলাদ পাঠকারীর বা  ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপনকারীর জন্য খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার  নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি তাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সে ক্ষান্ত হয়না ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন:

" যদি   মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করে কোন পানিতে ফুঁক দেয় , অতঃপরউক্ত পানি কেউ পান করে তাহলে তার অন্তরে এক হাজার নূর ও রহমত প্রকাশ করবে ।আর তার থেকে হাজারটি বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ রোগ দূর হবে । যে দিন সমস্ত ক্বলব( মানুষ) মৃত্যুবরণ করবে সেদিনও ঐ  ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার পানি পানকারী ব্যক্তির অন্তর মৃত্যুবরণ করবেনা।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন:

" যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করে রৌপ্যের অথবা স্বর্ণের দিরহাম সমূহের উপর ফুঁক দেয় অতঃপর তা অন্য জাতীয় মুদ্রার সাথে মিশায় তাহলে তাতে অবশ্যই বরকত হবে এবং এর পাঠক কখনই ফকীর হবে না । আর উক্ত পাঠকের হাত নবী করীম  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ( মীলাদ শরীফ পাঠের )  বরকতে কখনও খালি হবে না ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )


০৯. হযরত ইমাম শাফেয়ী  রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক: শাফেয়ী মাযহাব উনার ইমাম হযরত ইমাম শাফেয়ী  রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেল: 

" যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  উদযাপন উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করল এবং খাদ্য তৈরি করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং মীলাদ পাঠের জন্য উত্তম ভাবে তথা সুন্নাত ভিত্তিক আমল করল তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক হাশরের দিন ছিদ্দীক শহীদ, সালেহীগনের সাথে উঠাবেন এবং তার ঠিকানা হবে জান্নাতে নাঈমে ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

১০. হযরত ইমাম সাররী সাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:

" যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করলো সে যেন তার জন্য জান্নাতে  রওজা বা বাগান নির্দিষ্ট করলো । কেননা সে তা হুজুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্যই করেছে। " 

আর খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন :

" যে ব্যক্তি আমাকে ( হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  ভালবাসবে সে আমারই ( হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) সাথে জান্নাতে থাকবে " সুবহানাল্লাহ্ । (তিরমিয শরীফ,মিশকাত শরীফ,আল নেয়ামাতুল কুবরা )

১১. হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী  রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:দশম হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদুয যামান হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী  রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: 

" যে স্থানে বা মজলিসে বা মহল্লায় মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয় বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করা হয় যেখানে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাকের হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম গন বেষ্ঠন করে নেন । আর উনারা( হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম গন)  সে স্থানের অধিবাসী গণের উপর ছলাত ও সালাম শরীফ পাঠ করতে থাকেন । আর খালিক , মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টি মুবারকের আওয়াভূক্ত করে নেন । আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম , হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম ,হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম ও হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম মীলাদ শরীফ পাঠকারীর উপর  ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপনকারীর উপর ছলাত ও সালাম শরীফ পাঠ করেন ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

দশম হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদুয যামান হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী  রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন: 

" যখন কোন মুসলমান তার নিজ বাড়িতে মীলাদ শরীফ বা  ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠ করে তখন সেই বাড়ির অধিবাসীগণের উপর থেকে  খালিক , মালিক রব মহান আল্লাহ পাক অবশ্যই খাদ্যাভাব , মহামারী ,অগ্নিকান্ড ,ডুবে মরা ,বালা মুসিবত ,হিংসা-বিদ্বেষ , কুদৃষ্টি ,চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নিবেন ।যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন খালিক , মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তার জন্য হযরত মুনকার-নকীর আলাইহিমাস সালাম উনার সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেয় । আর তাঁর অবস্থান হয় খালিক , মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সানিধে সিদকের মাকামে ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )

যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার তাযীম করতে চাইবে তার জন্য উপরোক্ত বর্ণনাই যথেষ্ঠ। আর যে ব্যক্তির নিকট  ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাযীম( সম্মান করে না) নাই সারা দুনিয়া পূর্ণ করেও যদি তাঁর প্রশংসা করা হয় তথাপিও তার অন্তরে শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে প্রকম্পিত হবে না ।( মাসিক আল-বাইয়্যিনাত শরীফ ৮২তম সংখ্যা ৬১,৬২,৬৩ ও ৬৬ পৃষ্ঠা)

আয় খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে উনাদের দলভুক্ত করুন যাহারা  ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (  সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে  হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার মর্যাদা দান করেন এবং উনার মর্যাদা উপলব্ধি করেন। তিনি আমাদের কে খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছ্ছূল খাছ্ মুহিব্বীন,ও অনুসারী বানিয়ে দিন।আমীন।

বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ফাযায়ীল -ফযীলত, মর্যাদা -মর্ত্তবা ও উনার গুরুত্ব

পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ফাযায়ীল -ফযীলত, মর্যাদা -মর্ত্তবা ও উনার গুরুত্ব

পর্ব--------------০১



 সমস্ত প্রশংসা খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার, যিনি একক,অনন্ত  , অসীম ,চিরজীবি,সর্বশক্তিমান ,সর্বজ্ঞানী, এবং উনার সন্তষ্টি   মুবারক লাভই জিন ও ইনসানের একমাত্র কাম্য। 

আর আমাদের প্রাণের আক্বা, তাজেদারে মদিনা , সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর অনন্তকালের তরে অগণিত ছলাত ও সালাম শরীফ ( দরুদ ও সালাম শরীফ)

সাওম বা রোযা কী? 


রোযা ফার্সী শব্দ । রোযাকে আরবী ভাষায় একবচনে  'সাওম' বহুবচনে সিয়াম বলা হয়  ।  এর আভিধানিক অর্থ  কোনো কিছু থেকে বিরত থাকা বা কোনো কিছু পরিত্যাগ করা । সাওম আমাদের দেশে রোযা হিসেবে পরিচিত । 

শরীয়তের পরিভাষায় সাওম অর্থ সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহর ও যৌনক্রিয়াসহ ( খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক ) নিষিদ্ধ যাবতীয় কাজ থেকে বিরত থাকা ।

সাওমের গুরুত্ব: 


মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মুমিনদের জন্য পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে রোযা বা সাওম ফরয করে দিয়েছেন । অর্থাৎ যারা নিজেদেরকে মুমিন মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিবে তাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে রোযা বা সাওম  পালন করা । পূর্ববর্তী সকল নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উম্মতের জন্যই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তনি সাওম ফর করেছিলেন

আরো পড়ুন পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ফাযায়ীল -ফযীলত, মর্যাদা -মর্তবা ও উনার গুরুত্ব প্রথম পর্ব

 মুমিনদের জন্য সাওম ফরয করে দিয়ে মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফ উনার পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১৮৩-১৮৪ নং পবিত্র আয়াত শরীফের মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন ,

 
" হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের উপর (সিয়াম )রোযা ফরয করা হয়েছে , যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূরবর্তী নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের আনুসারীদের উপর । আশা করা যায় এর দ্বারা তোমাদের মধ্যে তাক্বওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হবে । নির্দিষ্ট  কিছুদিন এ ( সিয়াম )  রোযা পালন করতে হবে । তবে এ সময় তোমাদের কেউ রোগগ্রস্ত হয় অথবা সফররত থাকে , তবে সে অন্য সময় রোযার ( সিয়ামের ) এই সংখ্যা পূর্ণ করবে । আর সামর্থ থাকার সত্ত্বেও যারা রোযা না রাখে , তারা  যেন ফিদিয়া দেয় । একটি রোযার ফিদিয়া একজন মিসকীনকে খাওয়ানো  । আর যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ও সানন্দে কিছু বেশী সৎ কজ করে , তা তার জন্য ভালো । তবে  তোমরা যদি সঠিক বিষয় অনুধাবন কর থাকো , তাহলে তোমাদের জন্য রোযা রাখাই শ্রেয় । " 

অন্যত্র মালিক রব মহান  আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফ উনার পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১৮৫ নং পবিত্র আয়াত শরীফের মধ্যে ইরশাদ মুবারক , " কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এই ( রমাদ্বান শরীফ ) মাসটির সাক্ষাৎ পাবে , তার জন্য সম্পূর্ণ মাস রোযা রাখা অপরিহার্য । "

"বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ  " এর মধ্যে  প্রাণের আক্বা, তাজেদারে মদিনা , সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার জবান মুবারকে ইরশাদ মুবারক করেন , " সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ৫ ( পাঁচ ) টি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত । সে গুলো হলো : ( ০১ ) মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহা নেই এবং   মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন , তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল - এই সাক্ষ্য দেয়া ।  (০২) নামাজ কায়েম করা , (০৩) যাকাত প্রদান করা ,  (০৪) পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে রোযা রাখা ,(০৫) বাইতুল্লাহ্ বা কা'বা শরীফে গিয়ে হজ্ব করা ।

এখন আমাদের কাছে পরিষ্কার হলো ,  পবিত্র রমাদ্বান উনার মাসে রোযা পালন করা মুমিনদের জন্য -

০১. অপরিহার্য ফরয , লিখিত বিধান ।

০২. সম্পূর্ণ পবিত্র রমাদ্বান মাসের প্রতিদিন  রোযা রাখতে হবে । 

০৩. রোযা পালন সম্মানিত দ্বীন ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম ।

০৪. পবিত্র রমাদ্বান মাসের রোযা অস্বীকার করা কুফরী । 

০৫. পূরবর্তী নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসারীদের উপরও সাওম বা  রোযা পালন ফরয ছিল ।



পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ফাযায়ীল -ফযীলত, মর্যাদা -মর্তবা ও উনার গুরুত্ব

পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ফাযায়ীল -ফযীলত, মর্যাদা -মর্তবা ও উনার গুরুত্ব 

প্রথম পর্ব পড়তে  এখানে ক্লিক করুন

দ্বিতীয় পর্বে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু  রোযা  , রোযাদার  ও রোযাদার ব্যক্তিকে মুহব্বতকারী এবং  পবিত্র  মাহে রমাদ্বান শরীফ মাসের ফাযায়ীল -ফযীলত, মর্যাদা -মর্ত্তবা ও উনার গুরুত্ব

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মুমিনদের জন্য পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে রোযা বা সাওম ফরয করে দিয়েছেন । সেই সাথে তিনি রোযা  , রোযাদার  ও রোযাদার ব্যক্তিকে মুহব্বতকারী এবং  পবিত্র  মাহে রমাদ্বান শরীফ মাসকে বিরাট মর্যাদাও দান করেছেন ।

যেমন :

০১. " বুখারী শরীফ " উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার জবান মুবারকে ইরশাদ মুবারক করেন ,

মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

পিতা ও মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব -কর্তব্য

পিতা ও মাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব -কর্তব্য পর্ব -০১

পিতার আদেশ যখন শরীয়ত সম্মত হবে  তখন সেটা সন্তানের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে অন্যথায়  সন্তানের জন্য সেটা অগ্রহণযোগ্য বলে বিবোচিত হবে । তখন অন্য কোন ব্যবস্থা করে ফয়ালা করার চেষ্টা করতে হবে ।

 যেমন   এ প্রসঙ্গে বলা হয় যে ,

 মহান আল্লাহ পাক উনার  নবী হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম যখন হযরত হাজেরা আলাইহাস সালাম উনাকে এবং হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে  মক্কা শরীফে রেখে  চলে যান । এর পর তিনি মাঝে মাঝে এসে দেখে যেতেন । এদিকে হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম যখন  বড় হলেন, উনার মাতা যুরহাম গোত্রে উনাকে বিবাহ করালেন  ।  এবং হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে   বিবাহ করালেন উনার মাতা । তাই তিনি সেখানে থাকতেন ।  মাঝে-মধ্যে এদিক-সেদিক শিকারেও যেতেন অথবা কোন জরুরী কাজেও বের হতেন ।  একদিন তিনি বের হয়েছেন,তিনি বাড়িতে ছিলেননা  ।  এমন সময়  মহান আল্লাহ পাক উনার  নবী হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম আসলেন  ঘোড়ায়  চড়ে। এসে  সংবাদ  নিলেন ,"ঘরে কে রয়েছে,ঘরে কেউ  নেই ? "  তিনি দেখলেন, ঘরে একটা মেয়ে রয়েছে ।  জিজ্ঞাসা করলেন, " তুমি কে ? " ঐ মেয়ে পরিচয় দিলেন যে, " আমি হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালাম উনার আহলিয়াহ । "মহান আল্লাহ পাক উনার  নবী হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম জিজ্ঞাসা করলেন," কেমন আছ তোমরা  ? " জবাব দিল , খুব কষ্টে আছি, খাওয়া-পরা ইত্যাদি অসুবিধা রয়েছেন। " স্বামী তোমার সাথে কেমন ব্যবহার করে থাকেন ? "   "করেন এক রকম । " কথা গুলো হালকা হালকা ছিল যা মহান আল্লাহ পাক উনার জলীল ক্বদর নবী হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার শান ও মর্যাদা সে অনুযায়ী ছিল না । বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করলেন কিন্তু সেই বৃদ্ধ লোকটিকে সেই মহিলা চিনলোনা যে,উনি মহান আল্লাহ পাক উনার  নবী হযরত ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ আলাইহিস সালাম । শেষ পর্যন্ত তিনি কিছুক্ষণ সেই ঘোড়ার উপর  থেকে ( মহান আল্লাহ পাক উনার  নির্দেশ ছিল যে, আপনি নামতে পারবেন না  । ঘোড়ার উপর ছাওয়ার অবস্থায় সংবাদ নিতে হবে। ) " সংবাদ নিলেন; কিন্তু সেই মহিলা অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার জলীল ক্বদর নবী হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার আহলিয়াহ  কিছুই বললেন না । মহান আল্লাহ পাক উনার  নবী হযরত ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ আলাইহিস সালাম শেষ  পর্যন্ত বললেন,"এক কাজ কর, আমি চলে যাচ্ছি। তোমার স্বামী আসলে বলো যে, এ ধরনের একজন বৃদ্ধ লোক এসেছিলেন, উনি এসে বলে গেছেন যে , আপনাকে অর্থাৎ  মহান আল্লাহ পাক উনার জলীল ক্বদর নবী হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস  সালাম  উনাকে ,"আপনার ঘরের চৌকাঠটা পাল্টিয়ে  ফেলতে হবে । " কারণ চৌকাঠটা ভাল নয়, তাই পাল্টিয়ে ফেলতে হবে । " এ কথা বলে তিনি চলে গেলেন ।  এদিকে  মহান আল্লাহ পাক উনার  জলীল ক্বদর নবী হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম  তিনি আসলেন । আসার পর উনার আহলিয়াহ সংবাদ দিলেো যে, এ রকম আকার-আকৃতি মুবারক বিশিষ্ট একজন বৃদ্ধ এসেছিলেন?

মহান আল্লাহ পাক উনার জলীল ক্বদর নবী হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি চিনতে পারলো যে, "উনার সম্মানিত পিতা এসেছিলেন । " শুনে তিনি বললেন,"আমার পিতাকে খেদমত মুবারক করলে না? তা'যীম-তাকরীম মুবারক করলেনা ? স্ত্রী বললো," উনি নামেননি, কাজেই আমার পক্ষে  কিছু করা সম্ভব ছিলনা । তাই আমি কিছু করিনি  । " তখন মহান আল্লাহ পাক উনার জলীল ক্বদর নবী হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন," তিনি কি বলেছেন ? " তিনি বলেছেন, " কেমন আছ ? " আমি বলেছি " কষ্টে আমাদের দিন যাপন  হচ্ছে,কিছু অসুবিধাও আছে নানান দিক থেকে । " তিনি কি বললেন যে, " ঘরের চৌকাঠ পাল্টানোর জন্য । আমি যেন আপনাকে বলি, আপনার  ঘরের চৌকাঠটা পাল্টিয়ে ফেলার জন্য । "  তখন মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম বললেন যে, " দেখ ! আমার সম্মানিত  পিতা এসেছিলেন ।  তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার খলিল হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ।  তিনি বলেছেন," চৌকাঠ পাল্টানোর জন্য । অর্থাৎ তোমাকে তালাক দেওয়ার জন্য । কাজেই আমি তোমাকে তালাক দিলাম   । "  বলে  তালাক  দিয়ে দিলেন সাথে  সাথে  ।  তালাক দেয়া হলো  ।আ হলিয়া হ চলে  গেল । হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম আর একটা বিবাহ করলেন।

দ্বিতীয় বিবাহের বেশ  কিছুদিন  পর মহান আল্লাহ পাক উনার খলিল হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম আবার আসলেন। এসে উনি উনার নিয়মানুযায়ী  অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক আপনি ছওয়ারী থেকে নামতে পারবেন না । তিনি সেই ছওয়ারীতে চড়ে ঘরের সামনে আসলেন । সেদিনও মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম  বাড়িতে ছিলেন না । মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস  সালাম  উনার দ্বিতীয় আহলিয়াহ ঘরে অবস্থান করতেছিলেন । যখন ঘরের সামনে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম থামলেন, হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম  উনার আহলিয়াহ দৌড়ে আসলেন, এসে আদবের সহিত জিজ্ঞাসা করলেন, " আপনি কাকে চাচ্ছেন ? " হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম বললেন, " আমি হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে চাচ্ছি । "   হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার স্ত্রী বললেন, " দেখে তো মনে হচ্ছে আপনার আকার-আকৃতি মুবারক, চেহারা মুবারক উনার অনুরুপ । আপনি কি উনার সম্মানিত পিতা  ? " " হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম বললেন, " হ্যাঁ আমি উনার সম্মানিত পিতা । " হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার আহলিয়াহ আরজু করলেন,কাকুতি-মিনতি করলেন, আপনি দয়া করে নামুন একটু আমাদের এখানে , আমি একটু খেতমত করি আপনার । "  হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম বললেন, " আমার প্রতি মহান আল্লহ পাক উনার  আদেশ নেই নিচে নামার  । "  তখন  হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার আহলিয়াহ  " কিছু পানি এনে  বললেন , " আমার খেদমত মুবারক করার তেমন কিছু নেই  । "  বলে পানি দিয়ে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম  উনার পা মুবারক ধোয়ায়ে দিলেন । ধোয়ায়ে দিয়ে উনার  চুল দিয়ে পা মুবারক মুছে  দিলেন ।  মুছে দেয়ার পর মহান আল্লাহ পাক উনার  নবী হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম জিজ্ঞাসা করলেন,"কেমন আছ তোমরা ? " উনি বললেন , " মহান আল্লাহ পাক খুব সুখে রেখেছেন ,শান্তিতে রেখেছেন । সব দিক দিয়ে আমরা এতমিনান , কোন অসুবিধা নেই । "  যখন হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার আহলিয়াহ  সে সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিলেন ,উনি বললেন  যে , ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি । আমি তোমাদের জন্য দো'য়া করতেছি  । তবে তোমার স্বামী আসলে বলবে যে , " আমি এসেছিলাম এবং আমি বলে গেছি যেন ঘরের  চৌকাঠ  আর পাল্টানো  না হয় । উত্তম চৌকাঠ হয়েছে এবার  । চৌকাঠ যেন  আর পাল্টানো  না হয় । এটা তোমার স্বামীকে বলে  দিও । "  উনি বলে চলে গেলেন ।  হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম আসলেন । এসে যখন পৌছঁলেন , তখন উনার আহলিয়াহ বললেন , উক্ত ঘটনা শেষ পর্যন্ত । এটাও বললেন যে , উনি বলে গেছেন আমাকে আপনি যেন আপনার ঘরের  চৌকাঠ  আর পাল্টানো  না হয় ।  অর্থাৎ ঘরের উত্তম চৌকাঠ হয়েছে । " । মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম  বললেন  ,"  হ্যাঁ এর অর্থ তুমি কি বুঝতে পেরেছ  ? " উনি বলছেন , " তোমার কথা । তোমাকে যেনতালাক না দেয়া হয়  , তোমাকে নিয়েই যেন আমি ঘর -সংসার করি  । " এবং মহান আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ইসমাঈল যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম   সেই আহলিয়াহ কে নিয়েই ঘর -সংসার  করিয়েছিলেন।

কাজেই সন্তানকে যদি শরীয়তসম্মত নির্দেশ দেয়া হয় তা  অবশ্যই পালন  করতে  হবে। আর যদি শরীয়ত বিরোধী আদেশ করা হয় তা পালন করা সন্তানের  দায়িত্ব থাকেনা । যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার খলিল হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার নবী  ছিলেন । তিনি ওহী ছাড়া কোন কাজ করতেন না । তিনি নির্দেশ দিয়েছেন তিনি পাল্টিয়ছেন ।

অতএব , সন্তানের প্রতি পিতার হক্ব রয়েছে অনেক ও পিতার প্রতি সন্তানের হক্বও রয়েছে অনেক ।তাই প্রত্যেকেরই সেটা যথাযথ আদায় করতে হবে ।  এর খেলাপ কাজ করলে প্রত্যেককেই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট জবাবদিহী করতে হবে । 

সন্তানের হক্ব ও পিতার হক্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ্ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন ,

" তোমরা আদেশ কর। আদেশ করে তোদের সন্তানদেরকে নামাযের জন্য । যখন  বয়স  সাত  বছর  হয়ে  যাবে , আর দশ বছর হলে সে নামায আদায় না করে তাহলে তাকে শাস্তি দাও এবং বিছানা আলাদা করে  দাও । মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল  আদেশ  করেছেন , নির্দেশ দিয়েছেন যে , পিতার হক্ব হচ্ছে  সন্তানের যা শরয়ী দায়িত্ব-কর্তব্য , সেটা পালন করানো সন্তানকে দিয়ে । "







পবিত্র ছোহবত মুবারক উনার ফাযায়ীল ,ফযীলত ও গুরুত্ব

পবিত্র ছোহবত মুবারক উনার ফাযায়ীল ,ফযীলত ও গুরুত্ব 


 খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার  পবিত্র সূরা তওবা শরীফ উনার  পবিত্র  ১১৯ নম্বর আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন ,
" হে ঈমানদারগণ ! খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হয়ে যাও । " 

পবিত্র সম্মানিত দরুদ শরীফ পাঠের ফযীলত

পবিত্র সম্মানিত দরুদ শরীফ পাঠের ফযীলত --পর্ব ০২

পবিত্র ছলাত ও সালাম (পবিত্র দরুদ শরীফ) পাঠের ফজিলত পর্ব----০১

আল্লাহুম্মা ছল্লি 'আলা সাইয়্যিদিনা  ওয়া নাবিয়্যীনা ওয়া  হাবীবিনা  ওয়া  শাফীয়িনা  ওয়া  মাওলানা মুহাম্মাদিনিন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লিম।


"তিরমিযী শরীফ " উনার মধ্যে বর্ণিত আছে , আল্লাহ পাক উনার হাবীব  সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন , " দো'আ আসমান ও যমীনের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে , যতক্ষণ আমার উপর সম্মানিত দরুদ শরীফ পাঠ না করা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত কোন দো'আ-ই ( মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট  ) পৌঁছে না । সুতরাং তোমরা দো'আ-র প্রথমে  , মধ্যে ও শেষে আমার উপর সম্মানিত দরুদ শরীফ পাঠ করো । 

মুসনাদে আহমাদ শরীফ , নাসায়ী  শরীফ , ইবনে হাব্বান শরীফে " তে বর্ণিত আছে , সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন , '' যে ব্যক্তির নিকট আমার আলোচনা মুবারক করা হয় তার জন্য আমার সম্মানিত দরুদ শরীফ পাঠানো উচিত । আর যে আমার উপর একবার সম্মানিত দরুদ শরীফ পাঠাবে, মহান আল্লাহ পাক তার উপর সম্মানিত দশবার  দরুদ ( রহমত )  শরীফ নাযিল করেন । আর দশটি গুনাহ মাফ করে দিবেন ও তার মর্যাদা  দশ  গুণ  বাড়িয়ে দিবেন। "

সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম !

"তিরমিযী শরীফ  ও ইবনে হাব্বান শরীফে "  তে বর্ণিত আছে , সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন , '' নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন ওই ব্যক্তি আমার সর্বাধিক প্রিয় হবে , যে আমার উপর সবচেয়ে বেশি পরিমানে সম্মানিত দরুদ শরীফ পাঠ করে । "

সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম !

" তবারানী শরীফ " উনার  একখানা রেওয়ায়েতে  সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন , '' যে ব্যক্তি সকালে ১০ বার ও বিকালে  ১০  বার সম্মানিত দরুদ শরীফ পাঠ করে , ক্বিয়ামতের দিন সে আমার  সুপারিশ অবশ্যই পাবে । " 

সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম !

"তবারানী শরীফ " উনার  মধ্যে বর্ণিত আরেকখানা  সম্মানিত হাদীছ  শরীফ -এ  রেওয়ায়েতে  সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন , '' যে ব্যক্তি আমার উপর একবার সম্মানিত দরুদ শরীফ  পাঠ করে , মহান আল্লাহ পাক তিনি তার উপর দশবার সম্মানিত দরুদ শরীফ পাঠ করেন এবং যে আমার ১০ বার সম্মানিত দরুদ শরীফ পাঠ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার উপর ১০০ শত বর সম্মানিত দরুদ শরীফ পাঠ করেন ।"

আর তার কাপলে লিখে দেন - " এই ব্যক্তি মুনাফিকী ও দোযখ হতে মুক্তি প্রাপ্ত ।" আর ক্বিয়ামতের দিন শহীদগণ উনাদের সাথে তার হাশর-নাশর হবে । 

সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম !

সুতরাং  আমাদেরকে নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনার সুপারিশ মুবারক পেতে আমাদের কে  অত্যন্ত মুহব্বত, জওক - শওক , তাযীম-তাকরীমরের সাথে পবিত্র ছলাত ও সালাম  শরীফ তথা পবিত্র দরুদ শরীফ সদা সর্বদা পাঠ করতে  হবে।


পবিত্র ছলাত ও সালাম (পবিত্র দরুদ শরীফ) পাঠের ফজিলত

পবিত্র ছলাত ও সালাম (পবিত্র দরুদ শরীফ) পাঠের ফজিলত
পবিত্র ছলাত ও সালাম (পবিত্র দরুদ শরীফ) পাঠের ফজিলত পর্ব ------ ০১




আল্লাহুম্মা ছল্লি 'আলা সাইয়্যিদিনা  ওয়া নাবিয়্যীনা ওয়া  হাবীবিনা  ওয়া  শাফীয়িনা  ওয়া  মাওলানা মুহাম্মাদিনিন্নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লিম।

 

সমস্ত প্রশংসা খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার, যিনি একক,অন্ন্ত,অসীম,চিরজীবি,সর্বশক্তিমান ,সর্বজ্ঞানী, এবং উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভই জিন ও ইনসানের একমাত্র কাম্য। আর আমাদের প্রাণের আক্বা, তাজেদারে মদিনা , সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর অনন্তকালের তরে অগণিত ছলাত ও সালাম শরীফ ( দরুদ ও সালাম শরীফ)।

খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার ৩৩ নং"সুরা আহযাব "শরীফ উনার ৫৬ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন -

"ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউছল্লু-না আলান নাবিয়্যী ইয়া আইউহাল্লাযীনা আমানু ছল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লিমু- তাসলিমা।"

 অর্থ: "নিশ্চয় খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম গণ সকলেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দরুদ ও সালাম শরীফ পাঠ করে থাকেন। হে ইমানদারগণ! তোমরাও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দরুদ ও সালাম শরীফ প্রেরণ করার মতো প্রেরন কর।"

এই মহাপবিত্র আয়াত শরীফ খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন , তিনি(মহান আল্লাহ পাক ) নিজে ও তাঁর সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম গণ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দরুদ ও সালাম শরীফ পাঠ করে থাকেন এবং আমাদেরকে তথা যারা ইমানদার দাবি করে তাদেরকেও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দরুদ ও সালাম শরীফ পাঠ করার আদেশ করেছেন। খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ও তাঁর সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম গণ যা করেছেন,করতেছেন এবং অনন্তকালব্যাপী করতে থাকবেন এবং যা করার আমাদেরকে তথা যারা ইমানদার দাবি করে তাঁদেরকে করার জন্য আদেশ করেছেন ইহার চেয়ে উত্তম কাজ আর কি হতে পারে ? পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ,পবিত্র হাদিস শরীফে পবিত্র দরুদ শরীফ পাঠ করার বহু ফযিলত বর্ণিত আছে। দরুদ শরীফ ইবাদতের প্রধান অঙ্গ। দরুদ শরীফ যোগে ইবাদত না করলে ইবাদত অসম্পূর্ণ থেকে যায়। প্রত্যেক দো'আা ও মুনাজাতে পবিত্র দরুদ শরীফ পাঠ না করলে দো'আ আসমান ও জমিনের মাঝখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। সুতরাং প্রত্যেক দো'আা ও মুনাজাতে পূর্বে পবিত্র দরুদ শরীফ অবশ্যই্ অবশ্যই পাঠ করতে হবে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শাফায়াত মুবারক পেতে সদা সর্বদা পবিত্র দরুদ শরীফ অবশ্যই্ অবশ্যই পাঠ করতে হবে।

 যারা খাছ মুহবত, তাযীম-তাকরীমের সাথে পবিত্র ছলাত ও সালাম শরীফ পাঠ করেন তাদের প্রেরিত পবিত্র ছলাত ও সালাম শরীফ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সরাসরি ই শুনতে পান পবিত্র হাদিস শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে।

 আর যারা আম ভাবে পবিত্র ছলাত ও সালাম শরীফ পাঠ করেন তাদের প্রেরিত পবিত্র ছলাত ও সালাম শরীফ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে পৌঁছানো হয় বলে পবিত্র হাদিস শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে।

 যেমন, এ প্রসঙ্গে "দালায়েলুল খায়রত" নামক গ্রন্থের ভূমিকায় উল্লেখ আছে,

" হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ,আপনার থেকে দূরে অবস্থানকারী ও পরবর্তীকালে ধরাধামে আগমনকারীদের দরুদ শরীফ পাঠ আপনার দৃষ্টিতে কি রকম হবে? তিনি ( হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) ইরশাদ মুবারক করেন , আন্তরিক, অকৃত্রিম ভালবাসা সহকারে পবিত্র দরুদ শরীফ পাঠকারীদের পবিত্র দরুদ শরীফ আমি ( হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) নিজেই শুনি এবং তাদেরকেও চিনি । আর যাদের অন্তরে আমার ( হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) প্রতি আন্তরিক ও অকৃত্রিম ভালবাসা নেই তাদের পবিত্র দরুদ শরীফ আমার কাছে পেশ করা হয়।"

 আল্লামা ইবনে কাইয়্যূম রচিত " জিলাউল ইফহাম"গ্রন্থের ৭৩ পৃঃ ১০৮ নং হাদিস শরীফ আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন:----

 " যে কোন ব্যক্তি আমার( হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) প্রতি পবিত্র দরুদ শরীফ পাঠ করল পাঠকের আওয়াজ আমার কাছে পৌঁছে। এমন কি আমরা জিজ্ঞাসা করলাম ," ইহা আপনার বিছাল শরীফ উনার পরও? উত্তরে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন হ্যাঁ, এ নিয়ম আমার ( হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বিছাল শরীফ উনার পরও বলবৎ থাকবে।"

 " জিলাউল ইফহাম" গ্রন্থের ৭৩ পৃঃ হযরতুল আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি রচিত " আনসুল জলীস " গ্রন্থের ২২৭ পৃঃ বরাতে উল্লখ আছে,

 সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন:---- " হে আমার ( হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) হযরত সাহাবায়ে -ই- কিরাম (রদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহুম) গণ প্রতি ইয়াওমুল ইছলাইলিন আযীম শরীফ (সোমবার শরীফ) ও ইয়াওমুল জু'মাআহ ( শুক্রবার ) আমার ( হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) উনার বিছাল শরীফের পর বেশি করে পবিত্র দরুদ শরীফ পাঠ করবেন। আপনাদের পবিত্র দরুদ শরীফ আমি ( হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) সরাসরি শুনি ।"

"দারেমী শরীফ " উনার মধ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন:----

 " নিশ্চয়ই খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সারা দুনিয়াতে বিচরণকারী এমন কতিপয় হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম রয়েছেন যারা (হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম ) আমার ( হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) উম্মতগণের আমার ( হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) নিকট পৌঁছিয়ে থাকেন।"

অন্যত্র পবিত্র হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে ,

"হযরত আবু হুরাইয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা'য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন,পবিত্র দরুদ শরীফ পাঠ করা মাত্র এই পবিত্র ছলাত ও সালাম তথা দরুদ শরীফ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে পৌঁছে দেয়ার জন্য খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম পাঠিয়ে দেন। একজন হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে উপস্থিত হয়ে আরয করেন ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! অমুকের পুত্র অমুক ব্যক্তি আপনার প্রতি এই পবিত্র দরুদ শরীফ পাঠ করেছেন।সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহা শুনা মাত্র পবিত্র দরুদ শরীফ উনার উত্তর স্বরুপ পাঠকারীর জন্য খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক পবিত্র দরবার শরীফে দো'আা মুবারক করবেন।অতঃপর ঐ হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম আরশে আযীমের নিকট উপস্থিত হন এবং বলেন যে,অমুক ব্যক্তি আপনার (খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক ) রসূলের ( হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) উপর পবিত্র দরুদ শরীফ পাঠ করেছেন। তখন খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক বলেন যে,ঐ ব্যক্তির জন্য আমার (খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক ) তরফ হতে ১০টি নেকী পাঠিয়ে দাও এবং তার ১০ টি গুনাহ মাফ করে দাও। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম !


 মূলত্ব শুধু পবিত্র দরুদ শরীফ ও সালামই নয় বরং উম্মতের সমস্ত আমলই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে পেশ করা হয়। সুতরাং আমরা অত্যন্ত মুহব্বত, জওক - শওক , তাযীম-তাকরীমরের সাথে পবিত্র ছলাত ও সালাম শরীফ তথা পবিত্র দরুদ শরীফ সদা সর্বদা পাঠ করব।






ওলী-আল্লাহগণ উনাদের উপর দরুদ শরীফ পাঠ করার যাবে কি যাবে না ?

ওলী-আল্লাহগণ উনাদের উপর দরুদ শরীফ পাঠ করার যাবে কি যাবে না ?



সুওয়াল : ওলী-আল্লাহগণ উনাদের উপর দরুদ শরীফ পাঠ করার যাবে কি যাবে না ?

জওয়াব: হ্যাঁ ওলী-আল্লাহগণ উনাদের উপর দরুদ শরীফ পাঠ করার যাবে বা জায়িয আছে ।

এপ্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার ২২ পারা ৩৩ সুরা আহযাব শরীফ এর ৪৩ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন , " খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মু'মিনগণ উনাদের উপর ছলাত ( রহমত ) নাযিল করেন । "সুবহানাল্লাহ্ !
অন্যত্র খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার ১১ নং পারা পবিত্র সুরা তওবা শরীফ উনার ১০৩ পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন , " তাদের মাল থেকে ছদক্বা ( যাকাত ) গ্রহণ করুন । এ দ্বারা তদেরকে পাক - সাফ করুন এবং তাদের জন্য দোয়া ( ছলাত পাঠ ) করুন । নিশ্চয়ই আপনার ছলাত পাঠ তথা দোয়া তাদের জন্য শান্তির কারণ । মহান আল্লাহ পাক তিনি সবকিছু শুনেন ও জানেন । " সুবহানাল্লাহ্ !
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদিস শরীফ উনার কিতাব "মুসলিম শরীফ ও বুলুগুল মারাম " এ বর্ণিত আছে , হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবূ আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত যে , যখন কোনো সম্প্রদায় কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হাযির হতেন তখন তিনি বলতেন , " আল্লাহুম্মা ছল্লি আলাইহিম " অর্থাৎ হে আল্লাহ পাক আপনি তাদের উপর ছলাত ( রহমত ) নাযিল করুন । "
সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম !
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদিস শরীফ উনার কিতাব " বুখারী শরীফ ও মিশকাত শরীফে " একই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদিস শরীফ অন্যভাবে বর্ণিত আছে ।

উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদিস - এর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে ওলী-আল্লাহগণ উনাদের উপর দরুদ শরীফ পাঠ করার যাবে বা জায়িয আছে

দৈনিক কতবার আমরা তওবা-ইস্তিগফার করব?

দৈনিক কতবার আমরা তওবা-ইস্তিগফার করব?

 

 ইস্তিগফারের গুরুত্ব 

ইস্তিগফার  করার জন্য খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ  পাক সুবহানাহু তায়ালা তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের ২৯ নম্বর পারা সূরা মুযাম্মিল শরীফ -এর  ২০ নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন , " তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর । নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমাশীল,   দয়ালু । "

খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ  পাক সুবহানাহু তায়ালা তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের  অনেক জায়গায় তওবা - ইস্তিগফার করার জন্য আদেশ দিয়েছেন । 


" বুখারী শরীফ " উনার মধ্যে  খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ  পাক সুবহানাহু তায়ালা  উনার হাবীব  কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,  তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক   ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  তিনি উনার জবান মুবারকে ইরশাদ মুবারক করেন , " মহান আল্লাহ  পাক উনার শপথ , আমি প্রতিদিন সত্তরবারেও অধিক ইস্তিগফার ও তওবা  মহান আল্লাহ  পাক  উনার দরবারে  করে থাকি  । " 

" মুসলিম শরীফ " উনার একটি রেওয়ায়েত বর্ণিত আছে দৈনিক ১০০ বার ইস্তিগফারের কথা উল্লখ আছে  । 

এখনে  ৭০/১০০ বারের অর্থ হলো বহুসংখ্যক বার  । আর তিনি এরুপ করেছেন উম্মতদেরকে শিক্ষা দানের জন্য ।  কারণ " আক্বাঈদ ও তাফসীরের কিতাবসমূহ " বর্ণিত আছে তিনি নিশ্পাপ বা মা'ছূম । "