>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪

হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ, ফিলিস্তীন/ গুনাহ থেকে নিজেকে হিফাযত করার পুরষ্কার

 

হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ, ফিলিস্তীন


গুনাহ থেকে নিজেকে হিফাযত করার পুরষ্কার

হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে সবচেয়ে খুবসুরত ছিলেন হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম। আর হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যে খুবসুরত ছিলেন হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

তিনি একবার এক কাফেলার সাথে সফরে বের হলেন। পথিমধ্যে রাত হয়ে যাওয়ায় এক গোত্র প্রধানের বাড়িতে উঠলেন। সেই গোত্র প্রধানের এক মেয়ে ছিল। সে হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দেখে মুগ্ধ হলো এবং উনাকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিলো। পাপ থেকে বাঁচার জন্য হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সেই রাত্রেই সেখান থেকে উঠে পালিয়ে চলে আসলেন। আরব ভূমির পথ উনার চেনা ছিল না। ক্লান্ত শ্রান্ত অবস্থায় তিনি এক মরুভূমিতে এসে পৌঁছলেন। হাঁটুর মধ্যে মাথা রেখে চিন্তা করতে লাগলেন, কি ঘটনা ঘটলো এবং কাফেলার লোকেরাই বা উনার সম্বন্ধে কি ভাববে!

একপর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে গেলেন। স্বপ্নে দেখতে লাগলেন, একজন বুযুর্গ ব্যক্তি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে নিয়ে হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট উপস্থিত হলেন এবং উনাকে সালাম দিলেন। হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, ‘হুযূর! আমি আপনাকে চিনতে পারছি না। কিন্তু আপনার চেহারা সুরত দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই আপনি কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি হবেন।’ বুযুর্গ ব্যক্তির সঙ্গে ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ বললেন, ‘হ্যাঁ, তিনি সম্মানিত নবী হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম। তিনি এসেছেন আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য।’ একথা শুনে হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিনয়ের সাথে বললেন, ‘হুযূর! কি কারণে আপনি আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন? আপনি তো মহান আল্লাহ পাক উনার নবী আর আমি একজন সাধারণ ব্যক্তি।’

হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম বললেন, “হে ব্যক্তি! আমি যেমন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে ইউসুফ, আপনি তেমনি মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের মধ্যে ইউসুফ। সুবহানাল্লাহ! আজকে আপনার ঘটনা মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে বলেছেন যে, ‘হে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম! আপনি হযরত যুলায়খা আলাইহাস সালাম উনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন; আর এই যে আমার আরেক ইউসুফ, তিনিও এক গোত্র প্রধানের মেয়ের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে এসেছেন। আপনি উনাকে সুসংবাদ প্রদান করুন তিনি যেন যামানার বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ হযরত যুননুন মিসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে গিয়ে আমার ইসমে আ’যম শিক্ষা করেন এবং মুহাব্বত মা’রিফত অর্জন করেন।” সুবহানাল্লাহ!

যেহেতু হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে গুনাহ থেকে নিজেকে সংবরণ করেছিলেন, তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হয়ে পুরস্কারস্বরূপ উনাকে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছিলেন; আর সেটা হলো মহান আল্লাহ পাক উনার মুহাব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি পর্ব ২

 বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি পর্ব ২

যাঁরা উনার নিকট থেকে হাদীছ শরীফ শুনেছেন এবং উনার ছোহবত পেয়েছেন:
বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি পর্ব -------- ১
হযরত আইয়ূব রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত শায়বান আন-নাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইউনুস বিন উবাইদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইবনে আওন রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত হুমাইদ আত-ত্ববীল রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ছাবিত আল-বুনানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মালিক বিন দীনার রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত হিশাম বিন হাস্সান রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত জারীর বিন হাযিম রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আর-রাবী’ বিন আছ-ছাবীহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইয়াযীদ বিন ইবরাহীম আত-তুসতরী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুবারক বিন ফাদ্বালা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আবান বিন ইয়াযীদ আল-আত্তার রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত র্কুরা বিন খালিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত হাযম আল-কুত্বায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত সাল্লাম বিন মিসকীন রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত শুমাইত্ব বিন আজলান রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ছালিহ আবু আমির আল-খায্যায রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আব্বাদ বিন রাশিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আবু হারীয আবদুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত মুআবিয়া বিন আবদুল করীম রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ওয়াছিল আবু র্হুরাহ আর-রাক্কাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত হিশাম বিন যিয়াদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত শাবীব বিন শায়বা রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আশআছ বিন বারায রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আশআছ বিন জাবির আল-হুদ্দানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আশআছ বিন আবদুল মালিক আল-হুমরানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আশআছ বিন সাওওয়ার রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত আবুল আশহাব রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আরো অনেক। (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)



মানসিক পরিবর্তন:

হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মানসিকতা পরিবর্তন সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, প্রথম জীবনে তিনি মণি মাণিক্যের ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক কাজে একবার তিনি রোম শহরে গেলেন। রোমের একজন উযীরের সাথে উনার বন্ধুত্ব হয়। একবার সেই উযীরের অনুরোধে তিনি শহরের উপকন্ঠে এক জায়গায় যান এবং সেখানে অত্যন্ত সুসজ্জিত বৃহৎ স্বর্ণ ও মণি মাণিক্য খচিত একটি তাঁবু প্রতিষ্ঠিত দেখতে পান। একদল সুসজ্জিত সৈন্য তাঁবু প্রদক্ষিণ করে তাদের ভাষায় কি যেনো বলতে বলতে চলে যায়। এরপর প্রায় চারশত বিদ্বান এসে পূর্বের ন্যায় তাঁবু প্রদক্ষিণ করে কিছু বলতে বলতে চলে গেল। পরক্ষণেই প্রায় দুই শতাধিক সুন্দরী বাঁদী প্রত্যেকে বহু মূল্যবান মণি মাণিক্যপূর্ণ থালা মাথায় নিয়ে তাঁবু প্রদক্ষিণ করে কি যেনো বলতে বলতে চলে গেল। সর্বশেষে স্বয়ং রোম শাসক ও তার উযীর তাঁবুর ভিতরে প্রবেশ করে কিছু সময় পর বের হয়ে গেল। হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, এসব দেখে আমি অবাক হয়ে উযীরকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে উযীর বলল, এই শাসকের এক সুদর্শন ও গুণবান পুত্র ছিল। প্রাণাধিক সেই পুত্রের প্রতি শাসক অত্যন্ত দুর্বল ছিল, তাকে অতিশয় মুহব্বত করতো। হঠাৎ পুত্র কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকরা শত চেষ্টাতেও তাকে বাঁচাতে পারল না। তাকে এ তাঁবুতে দাফন করা হয়েছে। শাসক প্রতি বছরই একটি বিশেষ দিনে মহা আড়ম্বরে তার সমাধি দর্শন করতে আসে। আজ সেইদিন।

আপনি প্রথমে যে সেনাদলকে তাঁবু প্রদক্ষিণ করতে দেখলেন তারা বলেছিল, হে শাহযাদা! তোমার যে পরিণতি হয়েছে আমাদের বাহুবলে যদি তা প্রতিহত করা সম্ভবপর হতো তাহলে আমরা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় তোমাকে মুক্ত করতাম। কিন্তু যিনি এর নিয়ন্ত্রক উনার সাথে কোন যুদ্ধ চলে না।

বিদ্বানমন্ডলী এসে বলেছে, হে শাহযাদা! যদি আমাদের জ্ঞান, বিজ্ঞান ও পান্ডিত্যের বলে এ কষ্ট দূর করা সম্ভব হতো তাহলে আমরা তোমার জন্য তাই করতাম।

বৃদ্ধ ব্যক্তিরা এসে বলেছে, হে শাহযাদা! যদি সুপারিশ ও কান্নাকাটি করে তোমার জীবন রক্ষা করতে পারতাম, তাহলে আমরা কখনও বিরত থাকতাম না।

পরে সুন্দরী বাঁদীরা রত্নপূর্ণ থালা মাথায় নিয়ে এসে বলল, হে মনিব! যদি ধনরতœ ও সৌন্দর্য দিয়ে তোমাকে রক্ষা করা আমাদের পক্ষে সম্ভবপর হতো, তাহলে তোমার জন্য এ ধনরাশি উৎসর্গ করতাম। কিন্তু যিনি এসব সৃষ্টি করেছেন, উনার কাছে ধনরতœ ও রূপ-লাবণ্যের কোন মূল্যই নেই।

অবশেষে শাসক এগিয়ে গিয়ে বলল, হে প্রাণপ্রিয় পুত্র! তোমার পিতার হাতে আর কি শক্তি আছে? আমি তোমার জন্য সৈন্যদল, বিদ্বান, বৃদ্ধপুরুষ, রূপ-লাবণ্যময়ী বাঁদী ও মহিলাদেরকে হাযির করেছি এবং আমি নিজেও এসেছি। সৈন্যবল, পান্ডিত্ব, ধন-সম্পদ এবং সৌন্দর্যের সাহায্যে যদি এ বিপদ দূর করা সম্ভব হতো, তাহলে সর্বশক্তি দিয়ে তোমার প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করতাম। কিন্তু যিনি এমনটি করেছেন, তোমার পিতা, সমস্ত পৃথিবী উনার শক্তির মোকাবেলায় সম্পূর্ণ দুর্বল। এসব বলে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে শাসক বাইরে বের হয়ে আসল।

উযীরের এসব বর্ণনা হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হৃদয়ে গভীর রেখাপাত করল। তিনি অনুতপ্ত ও ব্যাকুল হয়ে স্বীয় ব্যবসা পরিত্যাগ করে পারলৌকিক চিন্তায় অধীর হয়ে ফিরে আসলেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন, আর কখনও এ নশ্বর এবং পাপপূর্ণ সংসারের মোহে নিজকে জড়াবেন না। তখন থেকেই তিনি ইবাদত, বন্দেগী ও রিয়াযতে নিজকে এমনভাবে আত্মনিয়োগ করলেন যে, সে সময় উনার মতো কঠোর রিয়াযতে নির্লিপ্ত আর কাউকে দেখা যায়নি। তিনি ৭০ বছর ওযূসহ ছিলেন। ওযূ বিনষ্ট হলে সাথে সাথে ওযূ করে নিতেন। বর্ণিত আছে যে, তিনি প্রতি জুমুয়াবারে জুমুয়ার নামাযের পর ওয়াজ নছীহত করতেন। (তাযকিরাতুল আওলিয়া) (ইনশাআল্লাহ চলবে)

গাজা সংঘাত ঘিরে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে

 গাজা সংঘাত ঘিরে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে

ফিলিস্তিনের গাজায় ২০২৪ সালজুড়ে হামলা চালাতে চায় দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েল। এ নিয়ে নানা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে দেশটির কর্মকর্তারা। তবে গত তিন মাসের সংঘাতেই দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের ওপর ক্ষুব্ধ আন্তর্জাতিক অঙ্গন। হামলা বন্ধে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের ওপর চাপ আসছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। চাপ রয়েছে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকেও।

গাজা পরিস্থিতি নিয়ে চতুর্থ ধাপের মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে গত সোমবার তেল আবিবে পৌঁছায় ব্লিঙ্কেন। এর আগে দুই দিনে জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব ভ্রমণ করে সে। চলমান সংঘাত যেন মধ্যপ্রাচ্যে আরও ছড়িয়ে না পড়ে, সেই লক্ষ্যেই ব্লিঙ্কেনের এই সফর।

দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলে পৌঁছানোর পর গত মঙ্গলবার দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের ব্লিংকেন বলেছে, তারা যদি একটি কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করে দেয়, তাহলে আরব প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এখনো গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে সুযোগ রয়েছে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের।

এ ছাড়া সংঘাতের মধ্যে গাজার বেসামরিক মানুষকে সুরক্ষা দিতে এবং তাদের কাছে আরও ত্রাণ পৌঁছানোর সুযোগ করে দিতে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলেকে চাপ দেবে বলে আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্লিঙ্কেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলবিরোধী এক বিক্ষোভের মুখে বাইডেন বলেছে, গাজা থেকে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের কিছু সেনা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সে। গাজা সংঘাতে দখলদার সন্ত্রাসী কাপুরুষ ইসরায়েলের পাশে থাকা বাইডেন সম্প্রতি এটাও বলেছিলো যে উপত্যকাটিতে নির্বিচার বোমা হামলা করা হচ্ছে।

বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি পর্ব -------- ১

 বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি




পরিচিতি মুবারক:



নাম মুবারক: হযরত হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি। পিতা: ইয়াসার। বছরা ও ওয়াসিত-এর মধ্যবর্তী “মায়সান” নামক এলাকার অধিবাসী ছিলেন। সেখান থেকে তিনি বন্দী হিসেবে মদীনা শরীফে আগমন করেন। হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ফুফু হযরত আর-রুবাই বিনতুন নদ্বর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে ক্রয় করেন, অতঃপর আযাদ করে দেন।

হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত আছে, আমার পিতা-মাতা বনু নাজ্জার গোত্রের এক ব্যক্তির অধীনে ছিলেন। আমার পিতা আনছারদের বনু সালামা গোত্রের এক মহিলাকে বিবাহ করেন। সেই মহিলা উনার মোহরের বিনিময়ে আমার পিতা-মাতা উভয়কে নিজের অধীনে নিয়ে আসেন অতঃপর উভয়কেই আযাদ করে দেন। (তবাকাত, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)



বিলাদত শরীফ ও শিশু অবস্থা:



এক বর্ণনায় রয়েছে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ (উম্মে সালামাহ) আলাইহাস সালাম উনার খাদিমা ছিলেন। আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকাল দুই বছর বাকী থাকতে পবিত্র মদীনা শরীফে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন।

হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যিনি মাতা তিনি যখন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফের কাজে ব্যস্ত থাকতেন এবং যখন তিনি ক্ষুধায় কাঁদতেন তখন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি মাতৃস্নেহে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে কোলে তুলে নিতেন। উনাকে মুহব্বত করতেন। বলা হয় যে, এ বরকতের ফলেই হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হিকমত, জ্ঞান-গরিমা ও মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক হাছিল করেন। সুবহানাল্লাহ! (তবাকাত)

বর্ণিত আছে যে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিলাদত শরীফ গ্রহণ করার পর উনাকে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট হাযির করা হয়। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে দেখে বলেন, هَذَا حَسَنٌ (এই শিশুটি সুন্দর) সুতরাং এর নাম রাখো ‘হাসান’। সেই মতে উনার নাম রাখা হয় ‘হাসান’।

সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি শৈশবে উনাকে যতেœর সাথে প্রতিপালন করেন। তিনি দোআ মুবারক করেছিলেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! উনাকে ইমাম করুন, যাতে সারা বিশ্বের মানুষ উনার ইক্তিদা করে। সুবহানাল্লাহ! (তাযকিরাতুল আওলিয়া)



হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা এবং ছোহবত মুবারক লাভ:



যাঁদের থেকে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন, হযরত ইমরান বিন হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত মুগীরা বিন শু’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবদুর রহমান বিন সামুরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত সামুরা বিন জুনদুব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবী বাকরা আছ-ছাক্বাফী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত নু‘মান বিন বাশীর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত জুনদুব আল-বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আমর ইবনে তাগলিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত মা‘কিল বিন ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আসওয়াদ বিন সারী’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু প্রমূখ এবং আরো অনেক প্রখ্যাত ছাহাবী। (সিয়ারু আলামিন নুবালা)

বর্ণিত আছে যে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ১৩০ জন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ছোহবত মুবারক লাভ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার সাথে উনার গভীর সু-সম্পর্ক ছিল এবং উনার নিকট থেকেই তিনি ইলিম হাছিল করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারকে তিনি বাইয়াত গ্রহণ করেন। (তাযকিরাতুল আওলিয়া) (
ইনশাআল্লাহ চলবে)

-গত ১ সপ্তাহে হামাসের অভিযান সম্পর্কে তথ্য জানালো হামাস

 

-গত ১ সপ্তাহে হামাসের অভিযান সম্পর্কে তথ্য জানালো হামাস

গত এক সপ্তাহের মিলিটারি রিপোর্ট জানিয়েছে আল-কাসসাম ব্রিগেড স্পক্স ‘আবু উবায়দা’।

গত এক সপ্তাহে, ৪২ টি ইসরায়েলী সামরিক যান পুরোপুরি কিংবা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

নিশ্চিতভাবে ২২ ইসরায়েলী দখলদার সেনাকে হত্যা করা হয়েছে।

ভিন্ন ভিন্ন অন্তত ৫২ টি অপারেশন পরিচালিত হয়েছে যেখানে অসংখ্য ইসরায়েলী সেনা নিহত ও আহত হয়েছে।

একটি ইসরায়েলী হেলিকপ্টারকে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল দ্বারা টার্গেট করা হয়েছে।

৪টি টানেলের প্রবেশমুখ উড়িয়ে ও মাইনফিল্ডের বিস্ফোরণে ইসরায়েলী সেনাদের ফাঁদে ফেলে হত্যা ও আহত করা হয়েছে।

একটি ইসরায়েলী নজরদারি ড্রোন (যৌথ অপারেশন) শট ডাউন, ১টি স্কাইলার্ক ড্রোন ও অন্য ২টি ড্রোন জব্দ করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর হামলা:

ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তাদের এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ও হামাসের উপনেতাকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আর মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলছে, ইসরাইল-লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাফেদ এলাকার একটি ইসরাইলি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।


আগামীকাল দিবাগত সন্ধ্যায় পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে। যদি চাঁদ দেখা যায় তবে আগামীকাল দিবাগত রাতটিই হবে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার পহেলা রাত অর্থাৎ মহাপবিত্র দুয়া কবুলের খাছ রাত। সুবহানাল্লাহ! আর ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত বা জুমুয়ার রাতটি হবে বার হিসেবে মহাপবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

 

আগামীকাল দিবাগত সন্ধ্যায় পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে। যদি চাঁদ দেখা যায় তবে আগামীকাল দিবাগত রাতটিই হবে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার পহেলা রাত অর্থাৎ মহাপবিত্র দুয়া কবুলের খাছ রাত। সুবহানাল্লাহ! আর ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত বা জুমুয়ার রাতটি হবে বার হিসেবে মহাপবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আগামীকাল দিবাগত সন্ধ্যায় পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে। যদি চাঁদ দেখা যায় তবে আগামীকাল দিবাগত রাতটিই হবে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার পহেলা রাত অর্থাৎ মহাপবিত্র দুয়া কবুলের খাছ রাত। সুবহানাল্লাহ! আর আগামী ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত বা জুমুয়ার রাতটি হবে বার হিসেবে মহাপবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদেরকে (সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীকে) আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিনগুলো সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিন, জানিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এই বিশেষ বিশেষ দিনগুলো উনাদের মধ্যে অবশ্যই প্রত্যেক শোকরগুজার ও ধৈর্যশীল বান্দা-বান্দীদের জন্য নির্দশন মুবারক রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! আর সেই মহাসম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিবসসমূহ উনাদের এক অনন্য বেমেছাল মহাসম্মানিত বরকতপূর্ণ ফযীলতপূর্ণ বিশেষ দিবস হচ্ছেন ১লা রজবুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “নিশ্চয়ই ৫ রাত্রে দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়ে থাকে। ১. পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার পহেলা রাত্র, ২. পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফে, ৩. পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর শরীফে, ৪ ও ৫. পবিত্র দুই ঈদ উনার দুই রাতে।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এই মহাপবিত্র ১লা রজবুল হারাম শরীফেই আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা আলাইহাস সালাম উনাদের মহাপবিত্র মহাসম্মানিত আযীমুশ্শান নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেই বৎসর ১লা রজবুল হারাম শরীফ বার হিসেবে ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! এবং ওই দিনেই অর্থাৎ ১লা রজবুল হারাম শরীফ পবিত্র লাইলাতুল জুমুয়াহ উনার রাত্রিতে মিনার নিকটে শি’বে আবী তালেব নামক স্থানে উনাদের দুই জনের মুবারক সাক্ষাৎ হয়। আর সেই মুবারক রাত্রিতেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে কুদরতীভাবে তাশরীফ মুবারক নেন। যার কারণে এ মুবারক রাত্রিটি সারা বিশ্বে পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ হিসেবে মশহুর। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসে রোযা রাখার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, “যে মুসলমান পুরুষ ও মহিলা পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি হাছিলের উদ্দেশ্যে একদিন রোযা রাখবে এবং একরাত্র ইবাদতে কাটাবে তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার আমলনামায় পূর্ণ এক বছর দিনে রোযা রাখার ও রাতে ইবাদত করার ফযীলত লিখে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! অন্য হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, নিশ্চয়ই জান্নাতের মধ্যে রজব নামে একটি নহর রয়েছে, যার পানি দুধের চেয়েও সাদা। যে ব্যক্তি রজব মাসে একটি রোযা রাখবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে সেই নহর থেকে পানি পান করাবেন। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরোও উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি রজবুল হারাম শরীফ মাসের ২৭ তারিখ রোযা রাখবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার আমল নামায় ৬০ মাস অর্থাৎ ৫ বছর ইবাদত করার ফযীলত লিখে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সুতরাং এ বরকতময় মাসে রোযা রাখার সুন্নতটি আদায় করতে হলে উত্তম ও আফযল হলো- ১লা তারিখ, পহেলা জুমুয়াবার এবং ২৭ তারিখের দিন রোযা রাখা। কারণ উক্ত দিন মুবারকসমূহ অনেকবেশি শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। যেমন বর্ণিত রয়েছে যে, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার ১লা রাতটি দোয়া কবুলের খাছ রাত্রি, ১লা জুমুয়াহ শরীফ রাতটি হচ্ছে, পবিত্র রগায়িব শরীফ উনার সুমহান রাত্রি মুবারক অর্থাৎ যে রাত্রিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহামহিম নূর মুবারক উনার মহাসম্মানিত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার নিকট তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন এবং ২৭ তারিখের রাতটি হচ্ছে, পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার মহান রাত্রি। সুবহানাল্লাহ!


উত্তরাঞ্চলে আবার শীত বেড়েছে

 

উত্তরাঞ্চলে আবার শীত বেড়েছে



উত্তরাঞ্চলে শীতের দাপট একটুও কমেনি। বরং ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠা-া বাতাসের কারণে দিনের তাপমাত্রা কম থাকায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা আবারও বেড়েছে। এক কথায় চলমান শীতে উত্তরের গ্রামের মানুষের জবুথবু অবস্থা। এই শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া বয়স্ক এবং শিশুরাও শীতজনিত রোগের ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, পহেলা জানুয়ারি থেকেই উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। প্রায় দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে যাচ্ছে উত্তরের দুই বিভাগের প্রত্যন্ত জনপদ। এ কারণে দিনের তাপমাত্রা কম থাকায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রাজশাহী অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৩ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় চলতি মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

নওগাঁর বাসিন্দা সেলিম রেজা জানান, গত বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে উত্তরের জেলাগুলোতে শীত বেড়েছে। চলতি জানুয়ারির শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা খুব বেশি বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রায় দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকায় শুধু গ্রামের সড়ক নয়, শহরের সড়ক ও মহাসড়কে দিনের বেলা যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এতে দুর্ভোগে রয়েছে ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষ। বিপাকে পড়েছে সকালে কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ।

আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাহ হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলিম মুবারক ও মু’জিযা শরীফ উনাদের মাধ্যমে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতা মুবারক-এ আর ছিফত হিসেবে সম্মানিত নূর মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির। সুবহানাল্লাহ!

 

আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাহ হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলিম মুবারক ও মু’জিযা শরীফ উনাদের মাধ্যমে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতা মুবারক-এ আর ছিফত হিসেবে সম্মানিত নূর মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির। সুবহানাল্লাহ!



ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ উনার ৮নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি, সৃষ্টি মুবারক করেছি শাহিদ অর্থাৎ সাক্ষ্যদাতা, উপস্থিত, হাযির-নাযির হিসেবে, সুসংবাদদানকারী এবং সতর্ককারীরূপে।” সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারকই হচ্ছেন ‘হাযির-নাযির’। সুবহানাল্লাহ! যেমন- বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফসহ আরো অন্যান্য কিতাবে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত রয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিদায় হজ্জের সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খুৎবা মুবারক উনার শেষে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আপনারা যারা এখানে হাযির বা উপস্থিত রয়েছেন, যারা গায়েব বা অনুপস্থিত উনাদেরকে (আমার নছীহত মুবারকগুলো) পৌঁছিয়ে দিবেন।”

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, এটা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন ‘হাযির-নাযির’। সুবহানাল্লাহ! شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারক যে ‘হাযির-নাযির’ এ বিষয়টি লুগাত বা অভিধান দ্বারাও ছাবিত। আর এটা সকলের জানা রয়েছে যে, যিনি হাযির বা উপস্থিত তিনি নাযির বা প্রত্যক্ষকারী, প্রত্যক্ষদর্শী। অর্থাৎ যিনি হাযির তিনিই নাযির আবার যিনি নাযির তিনিই হাযির। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিশুদ্ধ কিতাব ‘আবূ দাউদ শরীফসহ’ আরো অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি ঐ মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তুমি কোন বিপদে-আপদে পতিত হও তখন তুমি আমাকে স্মরণ করো, তাহলে আমি তোমার বিপদ-আপদ দূর করে দিবো। যখন তোমার জমিনে ফসল হয় না, দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তখন তুমি আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমার জমিতে ফসল ফলিয়ে দিবো, দূর্ভিক্ষ দূর করে দিবো। যখন তুমি কোন জনমানবহীন শূন্য স্থানে, (খাল-বিল, নদী-নালা, সমুদ্রে,) নির্জন প্রান্তরে, মরুভূমিতে অথবা বনে, ঝোপ-ঝার, জঙ্গলে থাকো আর তোমার বাহন হারিয়ে যায় বা বাহন না থাকে, তখন তুমি আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমার বাহন ফিরিয়ে দিবো।” সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অসংখ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির এবং কোনো সময় এবং স্থান উনার সম্মানিত উপস্থিতি মুবারক থেকে খালি নয়। যার কারণে কোনো উম্মত যদি জনমানবহীন শূন্য স্থানে, (খাল-বিল, নদী-নালা, সমুদ্রে,) নির্জন প্রান্তরে, মরুভূমিতে অথবা বনে, ঝোপ-ঝার, জঙ্গলে যেখানেই থাকে আর তার বাহন হারিয়ে যায় বা বাহন না থাকে, তখন সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্মরণ করলে তিনি উক্ত উম্মতের বাহন ফিরিয়ে দেন, বাহনের ব্যবস্থা করে দেন, কোনো বিপদে পড়লে বিপদ থেকে উদ্ধার করে দেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাহ হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলিম মুবারক ও মু’জিযা শরীফ উনাদের মাধ্যমে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতা মুবারক-এ আর ছিফত হিসেবে সম্মানিত নূর মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সর্বাধিক বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন পোষণ করা। উনার সীমাহীন বুলন্দী শান মুবারক মনে-প্রাণে মেনে নেয়া।