>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই হচ্ছেন ঈমানের মূল

 হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই হচ্ছেন ঈমানের মূল 

 " মুসনাদে আহমদ শরীফ " উনার মধ্যে উল্লেখ আছে,

"হযরত আবু যর গিফারী রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত । তিনি পবিত্র কা'বা শরীফ উনার দরজা মুবারক ধরে বলেছেন, আমি নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, সাবধান! আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা হলেন তোমাদের জন্য হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিশতীর ন্যায় ।উনার মধ্যে যে আরোহণ করবে, সে রক্ষা পাবে ।আর যে উনার থেকে পশ্চাতে যাবে সে ধবংস হবে ।"

যে কারণে হযরত বড় পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সবচেয়ে বেশি কারামত মুবারক প্রকাশিত হয়েছিল

   যে কারণে হযরত বড় পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সবচেয়ে বেশি কারামত মুবারক প্রকাশিত হয়েছিল 

যরত বড় পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সবচেয়ে বেশি কারামত মুবারক প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হয়ে আফদ্বালুল আওলিয়া  হযরত শায়েখ আহমদ ফারুকী  মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছিলেন,
পবিত্র ইলমে তরীক্বত বা পবিত্র তাসাওউফ উনাদের একটি বিষয় হচ্ছে উরুজ ও নুযূল । উরুজের শুরু হচ্ছে পবিত্র ক্বলব উনার মাক্বাম এবং নুযূলেরও শেষ হচ্ছে  পবিত্র ক্বলব উনার মাক্বাম। উরুজ-নুযূল পূরা হলে সাধারণভাবে কারামত মুবারক প্রকাশিত হতে দেখা যায় না । কিন্তু গাওছূল আ'যম হযরত বড় পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র ক্বলব উনার মাক্বামে নুযূল শেষ না হয়ে নুযূল শেষ হয়েছে পবিত্র রূহ উনার মাক্বাম পর্যন্ত । আর পবিত্র রূহ উনার মাক্বাম হচ্ছে সামান-আসবাবের উর্ধ্বে । যে কারণে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় উনার ( হযরত বড় পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি ) থেকে কারামত মুবারক বেশি প্রকাশিত  হয়েছে।"
যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ আফদ্বালুল আওলিয়া  হযরত শায়েখ আহমদ ফারুকী  মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এই বক্তব্যটি বিরূদ্ধবাদীরা গ্রহণ করে ইতোপূর্বেই পবিত্র ক্বাদরিয়া তরীক্বা উনার প্রসিদ্ধ বুযূর্গ হযরত শায়েখ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী  রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে উপস্থাপন করে এ বিষয়ে একখানা ফতওয়া তলব করে। তিনি ফতওয়া আরম্ভ করে তা শেষও করলেন যে, আফদ্বালুল আওলিয়া ইমামে রব্বানী হযরত  মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গওছূল আ'যম ,সাইয়্যিদুল আওলিয়া হযরত বড় পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মর্যাদা মুবারক ক্ষুন্ন করেছেন। যা কুফরী হয়েছে । নাঊযুবিল্লাহ! এরই মাঝে তিনি একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিয়ারতকালে বললেন,"ইয়া রসূলাল্লাহ্, ইয়া হাবীবাল্লাহ  ছল্লাল্লাাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! কি করলে আমি আপনার আরো অধিক সন্তুষ্টি মুবারক পেতে পারি?' জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ইরশাদ মুবারক করলেন," আপনি আফদ্বালুল আওলিয়া  হযরত শায়েখ আহমদ ফারুকী  মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে গিয়ে বাইয়াত  হলে আমার আরো অধিক সন্তুষ্টি মুবারক পাবেন ।" সুবহানাল্লাহ ! পরক্ষণেই তিনি  আফদ্বালুল আওলিয়া  হযরত শায়েখ আহমদ ফারুকী  মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরুদ্ধে লিখিত ফতওয়াখানা যা তখনও প্রকাশ করা হয়নি তা তিনি ছিঁড়ে ফেললেন । অতঃপর কয়েকদিনের মধ্যে খোঁজ-খবর নিয়ে উনার পবিত্র দরবার শরীফ গিয়ে উনার কাছে বাইয়াত হয়ে মুরিদ হয়ে গেলেন  এবং পরবর্তীতে উনার কাছ থেকে খিলাফত মুবারকও লাভ করেন । সুবহানাল্লাহ!

তিন মাস পরেও পবিত্র জিসিম বা দেহ মুবারক অক্ষত

 তিন মাস পরেও পবিত্র জিসিম বা দেহ মুবারক অক্ষত



যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, খলীফায়ে আ'শির, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্ব ত্বরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, ছহিবু ক্বাসিম, ছহিবু জামিউল উলূমী ওয়াল হিকাম, ছহিবু জামিউল মাক্বামাত ওয়াল আলক্বাব, ক্বাইয়্যুমে আ’যম, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বাবিইয়্যুল আউওয়াল, মুজাদ্দিদে আ'যম, নূরে মুকাররম, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলাহ আলাইহিস_সালাম উনার সম্মানিত পীর ছাহেব আলাইহিস সালাম

কুতুবুল আলম, আমীরুশ শরীয়ত, রাহনুমায়ে তরীক্বত, সুলতানুল আরিফীন, শাইখুল আসাতিযা, নাজমুল আউলিয়া, জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, লিসানুল উম্মাহ, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাসসিরীন, ফখরুল ফুক্বাহা, আল্লামাতুল আইয়াম, মুফতিউল আ’যম, আশিকু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলহাজ্জ হযরত মাওলানা শাহ সুফী সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ ওয়াজীহুল্লাহ নানুপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি যাত্রাবাড়ীর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের তিন মাস পরে উনার পবিত্র মাযার শরীফের অভ্যন্তরে পানি উঠে যায়। উনার মুরীদগণের মধ্যে কেউ কেউ স্বপ্নে দেখেন, তিনি উনার জিসিম মুবারককে আরো উঁচূ করে কবরস্থ করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। অনেক বাদ-প্রতিবাদের পরে উনার পবিত্র মাযার শরীফ উম্মুক্ত করা হয়। দেখা গেল উনার কাফন মুবারক সহ জিসিম মুবারক অবিকৃত আছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মাথা মুবারকের দিক থেকে এক অপূর্ব আতরের সুঘ্রাণ আসতে থাকে। সুবহানাল্লাহ! উনার এক আশিক্ব মুরীদ উনার হাঁটুর নিচের কাফনের কিয়দাংশ উম্মোচন করেন। দেখা গেল উনার জিসিম বা দেহ মুবারক হলুদ বর্ণ তৈলাক্ত অবস্থায় অবিকৃত আছেন, যা চিকচিক করছিলেন। তিন মাস পরেও এর কোন বিকৃতি ঘটেনি। অতঃপর পবিত্র মাযার শরীফকে আর একটু উঁচূ করে উনার জিসিম মুবারক রাখা হয়। উনার মাযার শরীফ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডে পাগলা বাজার এলাকায় শাহী মহল্লায় অবস্থিত। নিকটে একটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা ও একটি সাধারণ লোকদের কবরস্থান রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!