শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক :
খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন :
" অবশ্যই সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ।" ( মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুরা আল ইমরান শরীফ : মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৪)
মহান আল্লাহপাক জাল্লাশানুহু আমাদের জন্য তথা তামাম আলমের জন্য তিনি উনার হাবীব নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উছীলায়ে কুবরা তথা সবচেয়ে বড় উছীলা বানিয়েছেন । সুবহানাল্লাহ্ । খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কেন্দ্রীয় অবস্থানে রেখে তামাম আলমের কাজ সুসম্পন্ন করেন । নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একাধারে আগমন ( পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক ) ও তিরোধান ( পবিত্র বিছালী শান মুবারক ) তামাম আলমের জন্য খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক , ফজল ও করম মুবারক স্বরুপ । সারা বিশ্বে খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব পাক ছললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জাত পাক মুবারক সীরাত, সুরাত মুবারক উনাকে গুরুত্বসহকারে অনুধাবন করার জন্য সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গুরুত্বসহকারে পালন করে আসছেন সম্মানিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সম্মানিত ইমামগন । মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ , ইজমা শরীফ ও কিয়াস শরীফ মোতাবেক এই আনুষ্ঠানিকতা সু্ন্নতে উম্মতে মুস্তাহসান । উনার উছীলায় বিশ্ব মুসলিম নানাভাবে খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সন্তুষ্টি-রেজামন্দি মুবারক হাসিলের সুযোগ পায় ।
খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন :
" আপনার প্রতিপালকের নিয়ামত বর্ণনা করুন ।" ( মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুরা দ্বোহা শরীফ : মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ ১১)
অন্যত্র খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন :
" ( হে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম !) আপনি বলে দিন খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত মুবারকের জন্য তারা যেন আনন্দ ( খুশি/ঈদ) প্রকাশ করে ।" ( মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুরা ইউনূস শরীফ : মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
এখানে খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক মূলত্বঃ উনার হাবীব পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।কেননা খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন :
" আমি( খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক ) আপনাকে ( রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) তামাম আলমের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠিয়েছি ।" ( মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুরা আম্বিয়া শরীফ : মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আয়াত শরীফ ১০৭)
সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আয়োজন , আনুষ্ঠানিকতা কেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনাষ মাশায়েখগণ মুহব্বতের সাথে করে থাকেন তা গভীর ভাবে উপলব্ধি করার জন্য নিন্মে বর্ণিত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মহান বুজুর্গ গণের ক্বওল শরীফ মুবারক সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।
০১.সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম খলিফা আমীরুল মু'মিনীন , খলীফাতুল মুসলিমীন, আফদ্বালুন নাস বা'দ্বাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন:
" যে ব্যক্তি শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদ শরীফ পাঠ ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষ্যে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে জান্নাত আমার ( সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম) বন্ধু হয়ে থাকবে ।"সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
০২. সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ'যম আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দ্বিতীয় খলিফা আমীরুল মু'মিনীন , খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারুকে আ'যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন:
" যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস) উনাকে বিশেষ মর্যাদা দিল সে মুলত্বঃ ইসলামকেই পূনরূজীবিত করল।" "সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
০৩. সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নুরাঈন আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তৃতীয় খলিফা আমীরুল মু'মিনীন , খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত যূন নুরাঈন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন :
" যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করল সে যেন বদর ও হুনাইনের যুদ্ধে শরীক থাকল । " "সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
০৪. হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার চতুর্থ খলিফা আমীরুল মু'মিনীন, খলিফাতুল মুসলিম, আসাদুল্লাহিল গালিব, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি বলেল:
" যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার প্রতি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করল সে ব্যক্তি অবশ্যই ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিবে এবং বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
০৫. ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:
ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন :
" আমার ( হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি) একান্ত ইচ্ছা হয় যে , আমার ( হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি) যদি উহূদ পাহাড় পরিমান স্বর্ণ থাকত তাহলে তা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষ্যে ব্য়য় করতাম ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
০৬. সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:
সাইয়্যিদুত ত্বয়িফা হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন:
" যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার আয়োজনে উপস্থিত হলো এবং উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করলো। সে তার ঈমানের দ্বারা সাফল্য লাভ করবে অর্থাৎ সে বেহেশ্তী হবে ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
০৭. হযরত মারূফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:
হযরত মারূফ কারখী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন:
" যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপলক্ষ্য খাদ্যের আয়োজন করে, অতপর লোকজন কে জমা করে , মজলিশে আলোর ব্যবস্থা করে , পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নতুন লেবাস পরিধান করে, ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার তাজিমর্থে সু-ঘ্রাণও সুগন্ধি ব্যবহার করে ।খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তাকে হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম গণের প্রথম কাতারে হাশর করাবেন এবং সে জান্নাতের সুউচ্চ মাকামে অধিষ্ঠি হবে।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
০৮. ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:
ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন:
" যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করে লবণ, গম বা অন্য কোন খাদ্য দ্রব্যের উপর ফুঁক দেয় ,তাহলে এই খাদ্য দ্রব্যে অবশ্যই বরকতপ্রকাশ পাবে। এভাবে যে কোন কিছুর উপর পাঠ করুক না কেন। ( তাতে বরকত হবেই)।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন:
" উক্ত মুবারক খাদ্য মীলাদ পাঠকারীর বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপনকারীর জন্য খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি তাকে ক্ষমা না করা পর্যন্ত সে ক্ষান্ত হয়না ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন:
" যদি মীলাদ শরীফ পাঠ করে বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করে কোন পানিতে ফুঁক দেয় , অতঃপরউক্ত পানি কেউ পান করে তাহলে তার অন্তরে এক হাজার নূর ও রহমত প্রকাশ করবে ।আর তার থেকে হাজারটি বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ রোগ দূর হবে । যে দিন সমস্ত ক্বলব( মানুষ) মৃত্যুবরণ করবে সেদিনও ঐ ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার পানি পানকারী ব্যক্তির অন্তর মৃত্যুবরণ করবেনা।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
ইমাম ফখরুদ্দীন রাযি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন:
" যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করে রৌপ্যের অথবা স্বর্ণের দিরহাম সমূহের উপর ফুঁক দেয় অতঃপর তা অন্য জাতীয় মুদ্রার সাথে মিশায় তাহলে তাতে অবশ্যই বরকত হবে এবং এর পাঠক কখনই ফকীর হবে না । আর উক্ত পাঠকের হাত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ( মীলাদ শরীফ পাঠের ) বরকতে কখনও খালি হবে না ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
০৯. হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক: শাফেয়ী মাযহাব উনার ইমাম হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেল:
" যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন উপলক্ষ্যে লোকজন একত্রিত করল এবং খাদ্য তৈরি করলো ও জায়গা নির্দিষ্ট করলো এবং মীলাদ পাঠের জন্য উত্তম ভাবে তথা সুন্নাত ভিত্তিক আমল করল তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক হাশরের দিন ছিদ্দীক শহীদ, সালেহীগনের সাথে উঠাবেন এবং তার ঠিকানা হবে জান্নাতে নাঈমে ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
১০. হযরত ইমাম সাররী সাকতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:
" যে ব্যক্তি মীলাদ শরীফ পাঠ বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করার জন্য স্থান নির্দিষ্ট করলো সে যেন তার জন্য জান্নাতে রওজা বা বাগান নির্দিষ্ট করলো । কেননা সে তা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্যই করেছে। "
আর খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন :
" যে ব্যক্তি আমাকে ( হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভালবাসবে সে আমারই ( হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) সাথে জান্নাতে থাকবে " সুবহানাল্লাহ্ । (তিরমিয শরীফ,মিশকাত শরীফ,আল নেয়ামাতুল কুবরা )
১১. হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বওল শরীফ মুবারক:দশম হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদুয যামান হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন:
" যে স্থানে বা মজলিসে বা মহল্লায় মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয় বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপন করা হয় যেখানে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাকের হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম গন বেষ্ঠন করে নেন । আর উনারা( হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম গন) সে স্থানের অধিবাসী গণের উপর ছলাত ও সালাম শরীফ পাঠ করতে থাকেন । আর খালিক , মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তাদেরকে স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টি মুবারকের আওয়াভূক্ত করে নেন । আর নূর দ্বারা সজ্জিত প্রধান চার ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম অর্থাৎ হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম , হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম ,হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম ও হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম মীলাদ শরীফ পাঠকারীর উপর ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উদযাপনকারীর উপর ছলাত ও সালাম শরীফ পাঠ করেন ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
দশম হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদুয যামান হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন:
" যখন কোন মুসলমান তার নিজ বাড়িতে মীলাদ শরীফ বা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাঠ করে তখন সেই বাড়ির অধিবাসীগণের উপর থেকে খালিক , মালিক রব মহান আল্লাহ পাক অবশ্যই খাদ্যাভাব , মহামারী ,অগ্নিকান্ড ,ডুবে মরা ,বালা মুসিবত ,হিংসা-বিদ্বেষ , কুদৃষ্টি ,চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নিবেন ।যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন খালিক , মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তার জন্য হযরত মুনকার-নকীর আলাইহিমাস সালাম উনার সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেয় । আর তাঁর অবস্থান হয় খালিক , মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সানিধে সিদকের মাকামে ।" সুবহানাল্লাহ্ । ( আল নেয়ামাতুল কুবরা )
যে ব্যক্তি ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার তাযীম করতে চাইবে তার জন্য উপরোক্ত বর্ণনাই যথেষ্ঠ। আর যে ব্যক্তির নিকট ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাযীম( সম্মান করে না) নাই সারা দুনিয়া পূর্ণ করেও যদি তাঁর প্রশংসা করা হয় তথাপিও তার অন্তরে শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে প্রকম্পিত হবে না ।( মাসিক আল-বাইয়্যিনাত শরীফ ৮২তম সংখ্যা ৬১,৬২,৬৩ ও ৬৬ পৃষ্ঠা)
আয় খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে উনাদের দলভুক্ত করুন যাহারা ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ( সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার মর্যাদা দান করেন এবং উনার মর্যাদা উপলব্ধি করেন। তিনি আমাদের কে খালিক,মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছ্ছূল খাছ্ মুহিব্বীন,ও অনুসারী বানিয়ে দিন।আমীন।
Subhanallah
উত্তরমুছুন