>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩

ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর ৫ সুপারিশ

 ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর ৫ সুপারিশ


ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে পাঁচ সুপারিশ পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অষ্টম বিশেষ ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে সম্প্রচারিত ভাষণে (পূর্বে রেকর্ড করা) তিনি এ সুপারিশ পেশ করেন।


গত ৯ নভেম্বর রিয়াদে এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নৃশংস ও নজিরবিহীন আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবের আমন্ত্রণে এই শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী প্রথম সুপারিশে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েল পরিচালিত জঘন্য একতরফা যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা জ্বলছে এবং এখনো অব্যাহত রয়েছে। এই যুদ্ধ অন্যায্য এবং এটি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নির্মম লঙ্ঘন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েল কোনো বিরতি ছাড়াই নির্দয় তা-ব চালাচ্ছে, হাসপাতাল ও বেসামরিক অবকাঠামোতে বোমাবর্ষণ করছে এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ’

প্রধানমন্ত্রী তার দ্বিতীয় সুপারিশে বলেন, বিধ্বস্ত গাজার আটকে পড়া বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী উপকরণের অবিচ্ছিন্ন, দ্রুত এবং নিরাপদ সরবরাহের জন্য অবিলম্বে একটি মানবিক করিডোর খোলার প্রয়োজন রয়েছে।

ফিলিস্তিন যুদ্ধতিনি বলেন, বিরামহীন ফিলিস্তিন যুদ্ধহাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার এ সময়ে, মনে হচ্ছে আমরা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মৃত্যু ও ধ্বংসের দৃশ্য দেখে অচল হয়ে পড়েছি।

তিনি বলেন, ‘অন্তত একটি নিরাপদ মানবিক করিডোরের জন্য আমাদের দ্রুত কাজ করা দরকার। ’

তৃতীয়ত শেখ হাসিনা বলেন, নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং বর্বর উপায়ে এলাকাগুলো উচ্ছেদ করায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, ‘এই ধরনের জঘন্য কাজের শাস্তি হওয়া উচিত যাতে গাজায় যাদের বাড়িঘর রয়েছে তারা আবারও তাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে। ’

চতুর্থত তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘ, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোড ম্যাপে সম্মত হওয়া সিদ্ধান্তগুলো পুনরায় দেখে নেওয়া এবং দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে যা এই অঞ্চলের জনগণের মধ্যে স্থায়ী শান্তি আনবে। ’

পঞ্চম সুপারিশে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তারা আমাদের ভাই ও বোন যারা গত ৫৫ বছর ধরে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং তাদের নিজস্ব মাতৃভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন সময় এসেছে যে আমরা সবাই একসাথে তাদের পাশে দাঁড়াই এবং তাদের ন্যায্য দাবিটি উপলব্ধি করতে তাদের সহায়তা করি। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই যে কোনো সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হোক। সবার কাছে আমার আবেদন: যুদ্ধ বন্ধ করুন; অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন। প্রতিটি দেশ তার সার্বভৌমত্ব এবং শান্তিতে বসবাসের অধিকার ফিরে পাক। এতেই নিহিত রয়েছে মানবজাতির কল্যাণ। ’

প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে এবং আল-কুদস আল-শরীফকে রাজধানী করে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই ও বোনদের আত্মনিয়ন্ত্রণ, সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতার অধিকারকে সমর্থন করে এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বৈঠকটি ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনিদের ওপর নিষ্ঠুর আক্রমণ বন্ধ করার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। ’

কয়েক দশক ধরে গাজাকে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ উন্মুক্ত কারাগার হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, একসময় নির্যাতিত ইহুদি জনগণ এখন নির্মমভাবে তাদের ঘরবাড়ি, আশা-আকাঙ্খা ও পরিবারগুলোকে ধ্বংস করছে যারা তাদের কঠিন দিনগুলোতে আশ্রয় দিয়েছিল।

-তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেনা মোতায়েন চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

 

-তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেনা মোতায়েন চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

-নভেম্বরের প্রথমার্ধেই তফসিল -ইসি সচিব

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নভেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম। গতকাল ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলেছেন- নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা হবে। প্রথমার্ধের দিন যেহেতু সামনে আছে, তাই আপনারা অপেক্ষা করুন। এই বিষয়ে আমরা পত্রিকায় বিস্তারিত প্রকাশ করবো।

এদিকে, নভেম্বরের প্রথমার্ধের বাকি আছে মাত্র দুইদিন। ইসি সচিবের বক্তব্য অনুসারে বুধবার (১৫ নভেম্বর) অথবা বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা আছে।

সেনা মোতায়েন চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ:

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশের জনগণের সম্পদ ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনা মোতায়েনের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

গতকাল ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, আমি এস এম জুলফিকার আলী জুনু সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির একজন সদস্য এবং সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত ন্যাশনাল লইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।

পাহারায় উপস্থিতি বাড়াতে নির্দেশ আওয়ামী লীগের:

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, বাস পোড়ানো ঠেকাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আরও জোরালোভাবে মাঠে থাকতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তফসিলকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো আরও বেশি নাশকতা করতে পারে এই আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগামী এক সপ্তাহ নেতা-কর্মীদের বেশি উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

তফসিলকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বেশি উপস্থিতি ও সন্ধ্যার পরেও অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহাম্মদ মন্নাফি বলেন, তফসিলকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বেশি উপস্থিতি ও সন্ধ্যার পরেও অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।


দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইলি পণ্যের বৈশ্বিক বয়কটে বৃদ্ধি হলো হালাল পণ্যের চাহিদা

 

দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইলি পণ্যের বৈশ্বিক বয়কটে বৃদ্ধি হলো হালাল পণ্যের চাহিদা

আল ইহসান ডেস্ক:

গাজায় ইসরাইলের চলমান গণহত্যার প্রতি বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া তীব্রতর হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরাইলি পণ্য বয়কটের আন্দোলন গতি লাভ করায় হালাল পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন সপ্তাহে হালাল পণ্যের চাহিদা দ্বিগুণ বেড়েছে।

ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং ডিসকভার ইভেন্টের প্রধান ইউনুস ইতে বলেছেন, গাজায় গত ৪০ দিন ধরে গণহত্যা চালানো হয়েছে। এতে যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতারা নিরব থাকেন, জনসাধারণ তাৎপর্যপূর্ণ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। বিশ্বের অনেক দেশে প্রতিবাদ হচ্ছে এবং আমাদের দেশের মতোই ইসরাইলি পণ্য বয়কট বিশ্বব্যাপী দিন দিন বাড়ছে।

বিশ্বব্যাপী অনেক দেশে ইসরাইলি পণ্যের বিকল্পের অনুসন্ধান ত্বরান্বিত হয়েছে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ইতে বলেন, এই পরিস্থিতি হালাল-প্রত্যয়িত পণ্যের চাহিদাকে নির্দেশ করছে। বিশেষ করে গত তিন সপ্তাহে হালাল প্রত্যয়িত পণ্যের বিক্রি, খাদ্য থেকে স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ পর্যন্ত, ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে টেক্সটাইল এক শ ভাগের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইতে আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী ইসরাইলি পণ্যগুলোর একটি শক্তিশালী একচেটিয়া অবস্থান রয়েছে। যদিও অনেক হালাল-প্রত্যয়িত পণ্য একই রকম বা এমনকি উচ্চ মানের, কিন্তু এই ব্র্যান্ডগুলো তাদের একচেটিয়া অবস্থান ভাঙতে লড়াই করছিল। এখন বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের একটি শক্তিশালী চাহিদা দেখা দিয়েছে। যারা বিকল্প পণ্য খোঁজেন, তাদের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

গাজায় আরো দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইলি সেনা খতম

 গাজায় আরো দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইলি সেনা খতম


দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইল গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে তাদের আরো দুই সেনার নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে। নিহত সেনাদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করেছে তেল আবিব। দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইল থেকে প্রকাশিত হারেৎজ পত্রিকার অনলাইন ইংরেজি ভার্সনে নিহত দুই সেনার ছবি প্রকাশিত হয়েছে।

ইসরাইলি সূত্র ওই দুই সেনার পদবি প্রকাশ করেনি। তবে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস দাবি করেছে, ইসাচার নাতান ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তা। হামলায় আরো এক সেনার গুরুতর আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তেল আবিব।

এই নিয়ে দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গাজায় স্থল অনুপ্রবেশের শুরু থেকে এ পর্যন্ত তাদের ৪৪ সেনা নিহত হলো। যদিও এই সংখ্যাকে প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে অনেক কম বলেছে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তারা বলেছেন, গাজা যুদ্ধে প্রচুর সংখ্যক ইসরাইলি সেনা হতাহত হচ্ছে, জনরোষে পড়ার আশঙ্কায় যাদের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করছে না তেল আবিব।

বাংলাদেশ উন্নয়নের জন্য কতিপয় মুবারক দিক নির্দেশনাসমূহ

 বাংলাদেশ  উন্নয়নের জন্য কতিপয় মুবারক দিক নির্দেশনাসমূহ


মহান আল্লাহ পাক তিনি, উনার মহান খলীফা মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে সারা কায়িনাতবাসীর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়মত হিসেবে প্রেরন করেছেন। তিনিই দিচ্ছেন কায়িনাতবাসীর প্রতিটি বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনাসমূহ। উনার মুবারক দিক নির্দেশনা সমূহ অনুসরন-অনুকরন করলেই দোজাহানে সর্বক্ষেত্রে কামিয়াবী থাকবে।

১। আক্বিদা বিশুদ্ধ করা,আমলে ছলেহ করা,ছবর করা ও ইস্তেকামত থাকা:- মহান মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি উনার মহা মূল্যবান নছিয়ত মুবারকে বলে থাকেন,মুসলমানদেরকে আক্বিদা বিশুদ্ধ করতে হবে ও কাফের-মুশরিকদের প্রবর্তিত সব বদ আমল ও সর্ব প্রকার হারাম-নাজায়িজ কাজ ছেড়ে দিতে হবে।বিদয়াতী আমল ছেড়ে দিতে হবে,বিধর্মীদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখা যাবে না,তাদেরকে অনুসরন-অনুকরন করা যাবে না,সর্বাবস্থায় কুরআন শরীফ,হাদীস শরীফ,ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের উপর ইস্তেকামত থাকতে হবে,মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পরিপূর্ণ তাওয়াক্কুল রাখতে হবে,ছবর করতে হবে,সর্বত্র মীলাদ শরীফ জারি করতে হবে তাহলে মুসলমানদের উপর ও দেশের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ রহমত থাকবে, গায়েবী মদদ থাকবে ও সর্বাবস্থায় কুদরতী ফায়সালা মুবারক হবে। সুবহানাল্লাহ!

২। পরিপূর্ণরুপে যাকাত-উশর ব্যবস্থা কায়িম:- দেশের সর্বত্র যাকাত-উশর ব্যবস্থা কায়িম করতে হবে, যাকাত-উশর ব্যবস্থা কায়িম ব্যতিত অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব নয়। আর অর্থনৈকিত সচ্ছলতা ব্যতিত কোন জাতিই উন্নত হতে পারবে না।সকলেই যাকাত-উশর ঠিকমত আদায় করলে প্রত্যেকেরই মাল-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে ও পবিত্র হবে কাজেই যাকাত-উশর ব্যবস্থা সর্বত্র পরিপূর্ণভাবে কায়িম করতে হবে।

৩। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন:- প্রতিটি জাতির উন্নয়নের জন্য অন্যতম একটা ভিত্তি হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকেই শরিয়ত উনার শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও অন্যান্য প্রতিটি পেশার উপরই শিক্ষায় শিক্ষিত করে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।প্রতিটি গৃহে পারিবারিক তা’লিম,মক্তব প্রতিটি ইউনিয়ন,থানা,জেলায় মাদ্রাসা,স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে ও বাস্তবে শিক্ষার জন্য প্রশিক্ষনকেন্দ্রও স্থাপন করা দরকার।

৪। আইন ব্যবস্থার উন্নয়ন:- আইন ব্যবস্থার মূল ভিত্তি থাকবে কুরআন শরীফ,হাদীস শরীফ,ইজমা ও ক্বিয়াস। উনাদেরকে মধ্যে প্রতিটি বিষয়ের ফায়সালা দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে সেগুলিই অনুসরন করতে হবে।কাফের-মুশরিকদের কোন আইন-কানুন অনুসরন করা যাবে না।হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অনুসরন করতে হবে।

৫। সামরিক ব্যবস্থার উন্নয়ন:- সেনাবাহিনী,নৌ-বাহিনী,বিমান বাহিনী,আর্মি,পুলিশ,বিডিআরসহ সকলক্ষেত্রে তাদেরকে প্রশিক্ষন দিয়ে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।দেশের সীমান্তে শক্তিশালী সামরিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।এক্ষেত্রে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অনুরসন করতে হবে।

৬। প্রতিটি জেলায় শহর-বন্দর গড়ে তোলা:- বাংলাদেশে ৬৪টি জেলা রয়েছে কিন্তু প্রতিটি জেলায় তেমন বড় শহর-বন্দর,শিল্প-কারখানা নেই ফলে সবাই ঢাকার উপর নির্ভরশীল হয়ে পরে,এতে তাদের ব্যয়ও বেশি হচ্ছে ঢাকার উপর চাপও পড়ছে বেশি।এজন্য প্রতিটি জেলায় শহর-বন্দর-শিল্প-কারখানা গড়ে তুললে যার যার জেলায় সে সে কর্মরত থাকলে তার ব্যয়ভার কম হবে ও তাকে দূরে গিয়ে কর্ম করতে হবে না, তার আয়ের তুলনায় ব্যয় কম থাকবে এতে প্রতিটি মানুষ সচ্ছল থাকবে।

৭। ফ্লাইওভার,মেট্রোরেল কোন প্রয়োজন নাই,বরং অপচয়:- দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ফ্লাইওভার,মেট্রোরেল ইত্যাদির কোনো প্রয়োজন নাই,এইগুলি করে শুধু টাকা-পয়সা অপচয় করা হচ্ছে।এইগুলিতে যাটজট কমছে না বরং যানজট ও ভোগান্তি বেড়ে যাচ্ছে।শুধু ঢাকায় এতো লোকের বসবাস না করে প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে দিতে হবে, এতে যানজট কমবে।

৮। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন:- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি রেল ব্যবস্থা ও নৌ পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়ন করার জন্য বিশেষভাবে দিক নির্দেশনা মুবারক করে থাকেন।নৌ পথে ড্রেজিং করলে একদিকে নৌ পরিবরহন চলাচল করা সহজ হবে,অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে বন্যা হবে না,গ্রীস্মকালে পানির সংকট হবে না,ড্রেজিংয়ে যে মাটি উঠে সেটা বিক্রি করলে ড্রেজিং এর খরচ উঠে যাবে। রেল ও নৌ পথে মালামাল পরিবরহনে খরচ কম হবে ফলে একস্থানের মালামাল অন্যস্থানে নিয়ে গেলেও দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতীশীল থাকবে।

৯। প্রতিটি থানায় হিমাগার স্থাপন করা:- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি প্রতিটি থানায় ১ লাখ টন খাদ্য সংরক্ষনের উপযোগী হিমাগার স্থাপনের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা মুবারক দিয়ে থাকেন।পর্যাপ্ত হিমাগার না থাকার কারণে সংরক্ষনের অভাবে প্রতি বছর অনেক খাদ্যদ্রব্য ও ফল-ফসলাদী নষ্ট হয়।তাই হিমাগার স্থাপন করলে একদিকে খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হবে না অন্যদিকে সারা বছর সকল খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যাবে এবং দামও কম থাকবে।

১০। কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন:- বাংলাদেশের শতকরা ৮০% লোক কৃষির সাথে জড়িত।কৃষকরা যাতে ভালোভাবে চাষাবাদ করতে পারে সেজন্য কৃষকদেরকে ভর্তূকি দিতে হবে ও তাদেরকে ঋণও দিতে হবে।কৃষি কাজের সাথে ব্যবহৃত সকল উপকরনাদীর সহজলভ্যতার ব্যবস্থা করতে হবে।চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য প্রতিটি জেলায় হাসপাতাল ও দক্ষ ডাক্তার নিয়োগ দিতে হবে। এইক্ষেত্রে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অনুরসন-অনুসরন করতে হবে।

১১। বাইতুল মাল স্থাপন:- দেশে প্রতিটি জেলায় বাইতুল মাল স্থাপন করে সেখানে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে মাল জমা থাকবে। সেখান থেকে প্রয়োজন মুতাবেক বন্টন করা হবে ও গরীবদেরকে ভ্রাতা দেওয়া দিতে হবে।

১২। কাতিব,কাজী,আমিল নিয়োগ:- দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইনসাফগার কাতিব,কাজী ও আমিল নিয়োগ দেওয়া দরকার।

এছাড়া আরোও আনুসঙ্গিক অনেক বিষয় রয়েছে, মূল কথা হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা আমাদের জন্য অনুসরনীয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে উনাদেরকে অনুসরন-অনুকরন করলে কামিয়াবী থাকবে। 

বাংলাদেশেও বিপুল পরিমাণে মহামূল্যবান ইউরেনিয়াম আছে

 বাংলাদেশেও বিপুল পরিমাণে মহামূল্যবান ইউরেনিয়াম আছে

মহান সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার বরকতে এদেশে বিপুল পরিমাণে মহামূল্যবান ইউরেনিয়াম আছে

=======================

ভারতসহ দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের কারণেই তা উত্তোলন হচ্ছে না। জনগণকে জনসচেতন হতে হবে।

=======================

সিলেটের জৈন্তাপুর ও মৌলভীবাজারের হারাগাছায় ইউরেনিয়ামের সন্ধান মিললেও তা উত্তোলনে নেয়া হচ্ছে না কোনো উদ্যোগ। ফলে মাটির নিচে অব্যবহৃতভাবেই পড়ে আছে এ মূল্যবান খণিজ সম্পদ। ইউরেনিয়াম উত্তোলন না করার ব্যাপারে এতোদিন সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক বিধি-নিষেধের কথা বলা হলেও আন্তর্জাতিক পারমানবিক শক্তি সংস্থা বাংলাদেশকে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেয়ার পর উঠে যায় সকল বিধিনিষেধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সিলেটের ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে গড়ে ওঠতে পারে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। যা দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদক হিসেবে ইউরেনিয়াম ব্যবহৃত হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

১৯৭৫ সালে মৌলভীবাজারের তৎকালীন বড়লেখা (বর্তমান জুড়ি) উপজেলার ফুলতলা ও সাগরনাল ইউনিয়নের মধ্যবর্তী হারাগাছা (ষাঁড়েরগজ) পাহাড়ে সন্ধান মেলে দেশের প্রথম ইউরেনিয়াম খনির। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ ভূতত্ত্ববিদ ড. ইউনুসের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল হারাগাছা পাহাড়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে ইউরেনিয়াম প্রাপ্তির সম্ভাবনার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়। এরপর ওই পাহাড়কে তেজস্ক্রিয় এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে কমিশন। কিন্তু বাংলাদেশে ইউরেনিয়াম ব্যবহার ও উত্তোলনের অনুমতি না থাকায় এ প্রকল্পের কাজ ওই পর্যন্তই থেমে যায়। ১৯৮৫ সালে সম্ভাবনাময় সিলেটে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান করতে গিয়ে আবারো আলোচনায় আসে হারাগাছার ইউরেনিয়াম প্রকল্প। এ সময় ওই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়। সেই সঙ্গে সিলেটের বিভিন্ন স্থানেও ইউরেনিয়াম অনুসন্ধান চালায় আণবিক শক্তি কমিশন। পরীক্ষায় হারাগাছায় উন্নতমানের ইউরেনিয়াম-প্রাপ্তির বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত হয়। পরে ওই এলাকায় কয়েকটি কূপ খনন হলেও আন্তর্জাতিক বিধি-নিষেধের কারণে শেষ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম উত্তোলনের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

এরপর ১৯৮৫ সালে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার হারাগাছা পাহাড়ের সঙ্গে সিলেটের জৈন্তাপুরের বিভিন্ন স্থানে ইউরেনিয়ামের সন্ধান চালানো হয়। এ দুই স্থানে প্রায় ৩০টি কূপ খনন করে অনুসন্ধান চালিয়ে ইউরেনিয়ামের সন্ধান পায় আণবিক শক্তি কমিশন। কিন্তু সীমান্তবর্তী এলাকায় ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়া গেলেও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে গবেষণা বেশি দূর অগ্রসর হয়নি।

মৌলভীবাজার সফরে গিয়ে হারাগাছার ইউরেনিয়াম প্রকল্প নিয়ে সম্ভাবনার কথা বলেন তৎকালীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। ওইদিন মন্ত্রী এক সমাবেশে জানায়, হারাগাছার ইউরেনিয়াম আকরিক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং এ প্রকল্প থেকে ইউরেনিয়াম উত্তোলনেরও আশ্বাস দেয় সে। কিন্তু বর্তমান সরকারের নতুন মেয়াদ শুরু হয়ে প্রায় দেড় বছর পার হলেও ইউরেনিয়াম উত্তোলনের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

গত কিছুদিন আগে আরো ইউরেনিয়ামের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। তাদের দেয়া তথ্যমতে জানা গেছে- পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা এবং বৃহত্তর সিলেট ও ময়মনসিংহে নদীবাহিত বালুতে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আরো কয়েক প্রকার ভারী খনিজ (মিনারেল) ও রাসায়নিকের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আহরণযোগ্য ইউরেনিয়াম রয়েছে।

জিএসবি এর আগে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার গারো পাহাড়ের পাদদেশের এলাকায়ও ইউরেনিয়ামের সন্ধান পেয়েছিল। কিন্তু তা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আহরণযোগ্য ছিল না। এরপর উল্লিখিত নদীগুলোর বয়ে আনা বালুতে গুরুত্বপূর্ণ ভারী খনিজ ও রাসায়নিকের সন্ধান পাওয়া যায়। এর ভিত্তিতে কার্বন মাইনিং বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে সরকার ব্রহ্মপুত্র, যমুনার প্রায় চার হাজার হেক্টর চরাঞ্চল অনুসন্ধান জরিপের জন্য বন্দোবস্ত দেয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে কুড়িগ্রাম জেলার যমুনার বালুতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ইউরেনিয়ামসহ কয়েক প্রকার ভারী খনিজের নিশ্চিত উপস্থিতির কথা বলা হয়।

ওই প্রতিবেদন পাওয়ার পর জিএসবি পদ্মা, যমুনার বালুর রাসায়নিক ও খনিজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের জন্য একটি বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়। এর অধীনে পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার অন্তত ১০টি স্থানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ২০ মিটার গভীরতা থেকে বালুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই সব নমুনা দেশে ও বিদেশের গবেষণাগারে বিশ্লেষণ করা হয়। তার ফলাফলে দেখা গেছে, ওই নদীগুলোর বালুতে আহরণযোগ্য ভারী খনিজ ও রাসায়নিকের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ। অথচ ৭ শতাংশ থাকলেই তা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আহরণযোগ্য বিবেচিত হয়। প্রতি এক টন বালুতে যদি এক গ্রাম ইউরেনিয়াম পাওয়া যায়, তাহলে তা বাণিজ্যিকভাবে আহরণযোগ্য। সেখানে পাওয়া ইউরেনিয়ামের পরিমাণ এর চেয়ে বেশি।

উল্লেখ্য, ইউরেনিয়াম মহামূল্যবান একটি পদার্থ। পারমাণবিক গবেষণা, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং অত্যাধুনিক সামরিকশিল্পে এটি একটি অপরিহার্য উপাদান। এছাড়া যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ ও ভারী খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে, বিশ্ববাজারে সেগুলোর দাম এবং চাহিদাও প্রচুর।

উল্লেখ্য, ইউরেনিয়াম প্রধানত নিউক্লিয়াস চুল্লিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ইউরেনিয়াম পাওয়া গেলে দেশে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ সম্ভব। এমনকি পারমানবিক বোমা বানানোও সম্ভব। এছাড়া মূল্যবান ইউরেনিয়ামের বিশাল মজুদ পাওয়া গেলে বিদেশে রফতানি করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো যাবে। জাপান, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়াম কিনে থাকে।

সেই মহামূল্যবান তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়ামের সন্ধান পাওয়ার ৪৪ বছর পরও উত্তোলনের কেন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না? কেন মূল্যবান এ খনিজ সম্পদটি অবহেলায় পড়ে আছে? এসব প্রশ্নের সদুত্তর সরকারের কাছে নেই এবং সরকার স্বাভাবিকভাবে দিতেও পারবে না। এ প্রশ্নের উত্তর জনগণকেই খুঁজতে হবে। জনগণকেই জনসচেতন হতে হবে। এবং জনগণকেই দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ হয়ে নিজেদের হক্ব নিজেদের আদায় করতে হবে।

ছিদ্দীক্ব’ লক্বব মুবারকের নেপথ্য কথা

 আমিরুল মু’মিনীন খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকের শেষে "ছিদ্দীক্ব"  লক্বব  মুবারক  ব্যবহারের ইতিহাস 


পবিত্র মিরাজ শরীফ সংঘটিত হয় আনুষ্ঠানিক পবিত্র নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের এগারোতম বছরের ২৭শে রজব, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) শরীফ রাত্রিতে। সকাল বেলা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মিরাজ শরীফের বর্ণনা দেন যে, তিনি রাতে পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে বায়তুল মুক্বাদ্দাস শরীফ হয়ে সেখান থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাক্ষাত মুবারকে গিয়েছেন, আরশ, কুরসী, লৌহ-কলম, বেহেশত-দোযখ পরিদর্শন করেছেন, তারপর প্রত্যাবর্তন করেছেন ইত্যাদি।
এক কাফির এই বর্ণনা মুবারক শুনে ফিরছিল। পথে দেখা হলো হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সাথে। কাফিরটি বলল, ‘হে আমিরুল মু’মিনীন খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত সিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম! আপনি কি জানেন, যাঁকে আপনারা মহাসম্মানিত নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মনে করেন, তিনি কি বলছেন? তিনি বলছেন যে, তিনি এক রাতের মধ্যে এখান থেকে বায়তুল মুক্বাদ্দাস শরীফে গিয়েছেন; যে বায়তুল মুক্বাদ্দাস শরীফের দূরত্ব পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে এক মাসের রাস্তা। তারপর আবার সেখান থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাৎ মুবারকে গিয়েছেন এবং সেখান থেকে আবার ফিরেও এসেছেন! এটা কি আপনি বিশ্বাস করেন?’
আমিরুল মু’মিনীন খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘হে ব্যক্তি! তুমি কি নিজের কানে শুনেছো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার যবান মুবারকে এই কথা বলেছেন?’ সে ব্যক্তি বললো, ‘হ্যাঁ, আমি নিজ কানে শুনেছি। ’ তখন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি শুনে রাখো, আমি একবার কেন, শত সহস্রবার বিশ্বাস করি যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সত্য কথাই বলেছেন। ’ সুবহানাল্লাহ! এটা বলে তিনি রওয়ানা হয়ে গেলেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফের দিকে।
এদিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, ‘আপনি এখনি আমার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গিয়ে বলুন যে, আমি, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক, আজ থেকে হযরত আবূ বকর আলাইহিস সালাম উনাকে ‘ছিদ্দীক্ব’ (পরম সত্যবাদী) উপাধি মুবারক দিলাম। ’ সুবহানাল্লাহ! তারপর যখন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটে পৌঁছলেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে ‘ছিদ্দীক্ব’ বলে সম্বোধন মুবারক করলেন এবং উনাকে সুসংবাদ মুবারক দিলেন যে, এক কাফিরের মুখে পবিত্র মিরাজ শরীফের বিষয় শুনে বিনা বাক্য ব্যয়ে তা বিশ্বাস করার কারণে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে এই উপাধি মুবারক হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ!