>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জানাযায় অলৌকিক ঘটনা

 

 হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জানাযায় অলৌকিক ঘটনা


     চিত্র : হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফ ।

হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি ইন্তিকাল করলেন। উনার জানাযার জন্য পঙ্গপালের মতো ছুটে এলো বহু.মানুষ। বিশাল মাঠে জানাযার আয়োজন করা হলো। জনসমুদ্রে পরিণত হলো মাঠ। জানাযার সময় হলে একজন ঘোষক ঘোষণা করলেন,

 হযরত  খাজা কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি  ইন্তিকালের পূর্বে আমাকে ওসিয়ত করে গেছেন,যার মাঝে চারটি গুন থাকবে তিনি যেন  খাজা কুতুবউদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি  উনার জানাযা নামাজ পড়ান। 
গুন চারটি হলো:

 ১. যার জীবনে কোনদিন তাকবীরে উলা ছোটেনি।
২. যার কোনদিন তাহাজ্জুদ কাযা হয়নি।
৩. যে কোনদিন গায়রে মাহরামের দিকে বদনজরে তাকাননি ।
৪. এমন ইবাদতগুযার, যার কোনদিন আসরের সুন্নতও ছোটেনি।
একথা শোনার পর পুরো মাঠে নিরবতা ছেয়ে গেলো। সবাই নিস্তব্ধ। কে আছেন এমন এভাবেই কেটে গেলো বেশ কিছুক্ষণ। এরপর ভীড় ঠেলে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এলেন একজন। সবার দৃষ্টি তাঁর দিকে। ধীরে ধীরে জানাযার দিকে এগিয়ে এলেন। লাশের  মুখ থেকে চাদর সরিয়ে বললেন,  
হে খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি ! তুমি নিজে তো চলে গেলে ।কিন্তু আমাকে অপদস্ত করে গেলে। তারপর তিনি জন সম্মুখে মহান আল্লাহ তা‘য়ালা উনাকে
 সাক্ষী রেখে কসম খেয়ে বললেন, আমার  মাঝে এই চারটি গুণ আছে। জনতা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলো।        আরে !! ইনি কে?? তিনি আর কেউ নয়। তিনি হলেন তৎকালীন বাদশাহ শামসুদ্দীন আলতামাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি। সুবহানাল্লাহ ! একজন বাদশাহ যদি  নিজের সকল ব্যস্ততা সত্বেও এমন  আবেদের জীবন যাপন করতে পারেন। তাহলে আমরা যারা বিভিন্ন চাকরি বা ব্যবসা কিংবা অন্য কোন পেশায় নিয়োজিত, আমরা কি পারিনা এভাবে নিজেকে ইবাদতে ব্যস্ত রাখতে  ।


হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে মুজাদ্দিদে  আ'যম  সাইয়্যিদুনা হযরত  সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার উছিলায়  বেশী বেশী ইবাদত করার তাওফীক দান করুন।
আমিন ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন