>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩

ছিদ্দীক্ব’ লক্বব মুবারকের নেপথ্য কথা

 আমিরুল মু’মিনীন খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকের শেষে "ছিদ্দীক্ব"  লক্বব  মুবারক  ব্যবহারের ইতিহাস 


পবিত্র মিরাজ শরীফ সংঘটিত হয় আনুষ্ঠানিক পবিত্র নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের এগারোতম বছরের ২৭শে রজব, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) শরীফ রাত্রিতে। সকাল বেলা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মিরাজ শরীফের বর্ণনা দেন যে, তিনি রাতে পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে বায়তুল মুক্বাদ্দাস শরীফ হয়ে সেখান থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাক্ষাত মুবারকে গিয়েছেন, আরশ, কুরসী, লৌহ-কলম, বেহেশত-দোযখ পরিদর্শন করেছেন, তারপর প্রত্যাবর্তন করেছেন ইত্যাদি।
এক কাফির এই বর্ণনা মুবারক শুনে ফিরছিল। পথে দেখা হলো হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সাথে। কাফিরটি বলল, ‘হে আমিরুল মু’মিনীন খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত সিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম! আপনি কি জানেন, যাঁকে আপনারা মহাসম্মানিত নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মনে করেন, তিনি কি বলছেন? তিনি বলছেন যে, তিনি এক রাতের মধ্যে এখান থেকে বায়তুল মুক্বাদ্দাস শরীফে গিয়েছেন; যে বায়তুল মুক্বাদ্দাস শরীফের দূরত্ব পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে এক মাসের রাস্তা। তারপর আবার সেখান থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাৎ মুবারকে গিয়েছেন এবং সেখান থেকে আবার ফিরেও এসেছেন! এটা কি আপনি বিশ্বাস করেন?’
আমিরুল মু’মিনীন খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘হে ব্যক্তি! তুমি কি নিজের কানে শুনেছো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার যবান মুবারকে এই কথা বলেছেন?’ সে ব্যক্তি বললো, ‘হ্যাঁ, আমি নিজ কানে শুনেছি। ’ তখন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি শুনে রাখো, আমি একবার কেন, শত সহস্রবার বিশ্বাস করি যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সত্য কথাই বলেছেন। ’ সুবহানাল্লাহ! এটা বলে তিনি রওয়ানা হয়ে গেলেন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফের দিকে।
এদিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, ‘আপনি এখনি আমার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে গিয়ে বলুন যে, আমি, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক, আজ থেকে হযরত আবূ বকর আলাইহিস সালাম উনাকে ‘ছিদ্দীক্ব’ (পরম সত্যবাদী) উপাধি মুবারক দিলাম। ’ সুবহানাল্লাহ! তারপর যখন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটে পৌঁছলেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে ‘ছিদ্দীক্ব’ বলে সম্বোধন মুবারক করলেন এবং উনাকে সুসংবাদ মুবারক দিলেন যে, এক কাফিরের মুখে পবিত্র মিরাজ শরীফের বিষয় শুনে বিনা বাক্য ব্যয়ে তা বিশ্বাস করার কারণে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে এই উপাধি মুবারক হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন