>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

মুহম্মদ বিন আহমদ বিন সাহল রমালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ঈমানদীপ্ত শাহাদাত মুবারক:

 মুহম্মদ বিন আহমদ বিন সাহল রমালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ঈমানদীপ্ত শাহাদাত মুবারক:

No photo description available.
মিশরে এক সময় ছিলো উবাইদি শাসন। এই শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলো উবাইদুল্লাহ মাহদী। সে ছিলো কট্টর শিয়া। তার সম্পর্কে ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, উবাইদুল্লাহ বাতেনি উবাইদিয়াদের প্রথম শাসক। তারা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে পরিবর্তন করেছিলো। নাউযুবিল্লাহ! উবাইদিদের শাসনকালে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীদের উপর নির্মম নির্যাতন ও গণহত্যা চালানো হয়। তারা বিকৃত আক্বীদা প্রচার করতো।
সে সময় মিশরে বাস করতেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলেম এবং বুজুর্গ হযরত মুহম্মদ বিন আহমদ বিন সাহল রমালী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ছিলেন সম্মানিত হাদীছ শরীফ ও সম্মানিত ফিকহের ইমাম। বেশিরভাগ দিন তিনি রোজা রাখতেন। একই সাথে হক কথা বলার ক্ষেত্রে তিনি কাউকে পরোয়া করতেন না। তিনি সব সময়ই এই উবাইদি শিয়াদের ভ্রান্ত আক্বীদা এবং শাসনের বিরোধীতা করতেন। প্রচার প্রসারও করতেন। এজন্য উবাইদিরা সব সময় উনার উপর ক্ষিপ্ত থাকতো।
একদিনের ঘটনা। তৎকালীন মিশরের উবাইদি শাসক আবু তামিম অত্যন্ত রেগে গিয়ে হযরত মুহম্মদ বিন আহমদ বিন সাহল রমালি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে গ্রেফতার করে। আবু তামিমের কাছে সংবাদ এসেছে তিনি উবাইদি শাসনের বিরুদ্ধে নানা কথা বলে বেড়াচ্ছেন।
আবু তামিম উনাকে সামনে রেখে বললো, "আমার কাছে সংবাদ এসেছে, আপনি নাকি সবাইকে বলে বেড়াচ্ছেন, যদি আপনার কাছে ১০টি তীর থাকে তাহলে আপনি একটি রোমানদের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করবেন, আর নয়টি আমাদের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করবেন । এটা সত্য?'
তখন সাহল রমালি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, 'না, আমি এমন কথা বলিনি' তামিম প্রশ্ন করলো, 'তাহলে কী বলেছেন?' শায়খ তার অবস্থান পরিবর্তন করছেন ভেবে খুশি হয়ে উঠে আৰু তামিম সাদ। তখন তিনি বললেন, 'আমি বলেছি যদি আমার কাছে দশটি তীর থাকে, তাহলে আমি নয়টি তোমাদের দিকে নিক্ষেপ করবো এবং দশমটিও তোমাদের দিকেই নিক্ষেপ করবো। কারন তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত দ্বীন উনাকে বিকৃত করেছো, নেককারদের শহীদ করেছো, সম্মানিত তাওহীদ উনার আলোকে নিভিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছো। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তা ও জজবার সাথে এই কথাগুলো বললেন ।
এসব কথা শুনে শিয়া শাসক আৰু তামিম ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে যায়। সে প্রহরীদের আদেশ দেয় উনাকে বন্দী করতে। উনাকে বন্দী করা হলো এবং বন্দীর দ্বিতীয় দিন চাবুক দিয়ে প্রচন্ড প্রহার করা হয়। এরপর একজন ইহুদিকে আদেশ দেয়া হয় জীবন্ত অবস্থাতেই উনার চামড়া শরীর হতে আলাদা করে ফেলতে। উনার হাত পা বেধে ফেলা হয়। ধারালো ছুরি দিয়ে দিয়ে চামড়া আলাদা করতে থাকে ইহুদি। এ সময় হযরত সাহল রমালি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ তিলাওয়াত করছিলেন। এ দৃশ্য দেখে পাপিষ্ট ও অভিশপ্ত ইহুদী সে উনার সিনায় ছুরি বসিয়ে উনাকে শহীদ করে দেয়। নাউযুবিল্লাহ! উনার সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারকের পর উনার আলাদা করা চামড়া থেকে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার তিলাওয়াতের শব্দ শোনা যেতে থাকে। সুবহানাল্লাহ! বিশেষ করে একটি আয়াত শরীফ বার বার শোনা যেতে থাকে তাহলো, ইহা তো সম্মানিত কিতাব মুবারকেই লিপিবদ্ধ আছে। (পবিত্র সূরা বনী ইসরাইল, পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
উনার সম্মানিত শাহাদাতী শান মুবারকের পর মিশরের আরেক বুজুর্গ হযরত ইবনুশ শাশা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি স্বপ্নে সাহল রমালি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দেখেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কেমন আছেন? তখন সাহল রমালি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, খলিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক উনার চাদরে আবৃত্ত করেছেন এবং উনার নৈকট্য হাদিয়া করেছেন এবং বলেছেন আমি যেন সব সময় উনার প্রতিবেশি হয়ে থাকি। সুবহানাল্লাহ!
যুগে যুগে এভাবে হক্কানী-রব্বানী আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা নিজের জান- মাল বিলিয়ে নিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শানকে বুলন্দ করেছেন।

All reactions:
3


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন