>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪

বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি পর্ব -------- ১

 বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি




পরিচিতি মুবারক:



নাম মুবারক: হযরত হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি। পিতা: ইয়াসার। বছরা ও ওয়াসিত-এর মধ্যবর্তী “মায়সান” নামক এলাকার অধিবাসী ছিলেন। সেখান থেকে তিনি বন্দী হিসেবে মদীনা শরীফে আগমন করেন। হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ফুফু হযরত আর-রুবাই বিনতুন নদ্বর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে ক্রয় করেন, অতঃপর আযাদ করে দেন।

হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত আছে, আমার পিতা-মাতা বনু নাজ্জার গোত্রের এক ব্যক্তির অধীনে ছিলেন। আমার পিতা আনছারদের বনু সালামা গোত্রের এক মহিলাকে বিবাহ করেন। সেই মহিলা উনার মোহরের বিনিময়ে আমার পিতা-মাতা উভয়কে নিজের অধীনে নিয়ে আসেন অতঃপর উভয়কেই আযাদ করে দেন। (তবাকাত, সিয়ারু আ’লামিন নুবালা)



বিলাদত শরীফ ও শিশু অবস্থা:



এক বর্ণনায় রয়েছে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ (উম্মে সালামাহ) আলাইহাস সালাম উনার খাদিমা ছিলেন। আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকাল দুই বছর বাকী থাকতে পবিত্র মদীনা শরীফে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন।

হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যিনি মাতা তিনি যখন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফের কাজে ব্যস্ত থাকতেন এবং যখন তিনি ক্ষুধায় কাঁদতেন তখন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি মাতৃস্নেহে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে কোলে তুলে নিতেন। উনাকে মুহব্বত করতেন। বলা হয় যে, এ বরকতের ফলেই হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হিকমত, জ্ঞান-গরিমা ও মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য মুবারক হাছিল করেন। সুবহানাল্লাহ! (তবাকাত)

বর্ণিত আছে যে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিলাদত শরীফ গ্রহণ করার পর উনাকে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নিকট হাযির করা হয়। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে দেখে বলেন, هَذَا حَسَنٌ (এই শিশুটি সুন্দর) সুতরাং এর নাম রাখো ‘হাসান’। সেই মতে উনার নাম রাখা হয় ‘হাসান’।

সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাদিসাহ আলাইহাস সালাম তিনি শৈশবে উনাকে যতেœর সাথে প্রতিপালন করেন। তিনি দোআ মুবারক করেছিলেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! উনাকে ইমাম করুন, যাতে সারা বিশ্বের মানুষ উনার ইক্তিদা করে। সুবহানাল্লাহ! (তাযকিরাতুল আওলিয়া)



হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা এবং ছোহবত মুবারক লাভ:



যাঁদের থেকে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন, হযরত ইমরান বিন হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত মুগীরা বিন শু’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবদুর রহমান বিন সামুরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত সামুরা বিন জুনদুব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আবী বাকরা আছ-ছাক্বাফী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত নু‘মান বিন বাশীর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত জুনদুব আল-বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আমর ইবনে তাগলিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত মা‘কিল বিন ইয়াসার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আসওয়াদ বিন সারী’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু প্রমূখ এবং আরো অনেক প্রখ্যাত ছাহাবী। (সিয়ারু আলামিন নুবালা)

বর্ণিত আছে যে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ১৩০ জন ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ছোহবত মুবারক লাভ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার সাথে উনার গভীর সু-সম্পর্ক ছিল এবং উনার নিকট থেকেই তিনি ইলিম হাছিল করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার হাত মুবারকে তিনি বাইয়াত গ্রহণ করেন। (তাযকিরাতুল আওলিয়া) (
ইনশাআল্লাহ চলবে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন