>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪

আগামীকাল দিবাগত সন্ধ্যায় পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে। যদি চাঁদ দেখা যায় তবে আগামীকাল দিবাগত রাতটিই হবে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার পহেলা রাত অর্থাৎ মহাপবিত্র দুয়া কবুলের খাছ রাত। সুবহানাল্লাহ! আর ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত বা জুমুয়ার রাতটি হবে বার হিসেবে মহাপবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

 

আগামীকাল দিবাগত সন্ধ্যায় পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে। যদি চাঁদ দেখা যায় তবে আগামীকাল দিবাগত রাতটিই হবে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার পহেলা রাত অর্থাৎ মহাপবিত্র দুয়া কবুলের খাছ রাত। সুবহানাল্লাহ! আর ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত বা জুমুয়ার রাতটি হবে বার হিসেবে মহাপবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আগামীকাল দিবাগত সন্ধ্যায় পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে। যদি চাঁদ দেখা যায় তবে আগামীকাল দিবাগত রাতটিই হবে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার পহেলা রাত অর্থাৎ মহাপবিত্র দুয়া কবুলের খাছ রাত। সুবহানাল্লাহ! আর আগামী ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত বা জুমুয়ার রাতটি হবে বার হিসেবে মহাপবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি তাদেরকে (সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীকে) আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিনগুলো সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিন, জানিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এই বিশেষ বিশেষ দিনগুলো উনাদের মধ্যে অবশ্যই প্রত্যেক শোকরগুজার ও ধৈর্যশীল বান্দা-বান্দীদের জন্য নির্দশন মুবারক রয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! আর সেই মহাসম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ তথা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ বিশেষ দিবসসমূহ উনাদের এক অনন্য বেমেছাল মহাসম্মানিত বরকতপূর্ণ ফযীলতপূর্ণ বিশেষ দিবস হচ্ছেন ১লা রজবুল হারাম শরীফ। সুবহানাল্লাহ! এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “নিশ্চয়ই ৫ রাত্রে দোয়া বিশেষভাবে কবুল হয়ে থাকে। ১. পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার পহেলা রাত্র, ২. পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফে, ৩. পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর শরীফে, ৪ ও ৫. পবিত্র দুই ঈদ উনার দুই রাতে।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এই মহাপবিত্র ১লা রজবুল হারাম শরীফেই আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার ও সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা আলাইহাস সালাম উনাদের মহাপবিত্র মহাসম্মানিত আযীমুশ্শান নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। সেই বৎসর ১লা রজবুল হারাম শরীফ বার হিসেবে ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! এবং ওই দিনেই অর্থাৎ ১লা রজবুল হারাম শরীফ পবিত্র লাইলাতুল জুমুয়াহ উনার রাত্রিতে মিনার নিকটে শি’বে আবী তালেব নামক স্থানে উনাদের দুই জনের মুবারক সাক্ষাৎ হয়। আর সেই মুবারক রাত্রিতেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে কুদরতীভাবে তাশরীফ মুবারক নেন। যার কারণে এ মুবারক রাত্রিটি সারা বিশ্বে পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ হিসেবে মশহুর। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসে রোযা রাখার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, “যে মুসলমান পুরুষ ও মহিলা পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি হাছিলের উদ্দেশ্যে একদিন রোযা রাখবে এবং একরাত্র ইবাদতে কাটাবে তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার আমলনামায় পূর্ণ এক বছর দিনে রোযা রাখার ও রাতে ইবাদত করার ফযীলত লিখে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! অন্য হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, নিশ্চয়ই জান্নাতের মধ্যে রজব নামে একটি নহর রয়েছে, যার পানি দুধের চেয়েও সাদা। যে ব্যক্তি রজব মাসে একটি রোযা রাখবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে সেই নহর থেকে পানি পান করাবেন। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরোও উল্লেখ আছে, যে ব্যক্তি রজবুল হারাম শরীফ মাসের ২৭ তারিখ রোযা রাখবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার আমল নামায় ৬০ মাস অর্থাৎ ৫ বছর ইবাদত করার ফযীলত লিখে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সুতরাং এ বরকতময় মাসে রোযা রাখার সুন্নতটি আদায় করতে হলে উত্তম ও আফযল হলো- ১লা তারিখ, পহেলা জুমুয়াবার এবং ২৭ তারিখের দিন রোযা রাখা। কারণ উক্ত দিন মুবারকসমূহ অনেকবেশি শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত। যেমন বর্ণিত রয়েছে যে, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার ১লা রাতটি দোয়া কবুলের খাছ রাত্রি, ১লা জুমুয়াহ শরীফ রাতটি হচ্ছে, পবিত্র রগায়িব শরীফ উনার সুমহান রাত্রি মুবারক অর্থাৎ যে রাত্রিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহামহিম নূর মুবারক উনার মহাসম্মানিত আম্মা আলাইহাস সালাম উনার নিকট তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন এবং ২৭ তারিখের রাতটি হচ্ছে, পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার মহান রাত্রি। সুবহানাল্লাহ!


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন