>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪

আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাহ হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলিম মুবারক ও মু’জিযা শরীফ উনাদের মাধ্যমে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতা মুবারক-এ আর ছিফত হিসেবে সম্মানিত নূর মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির। সুবহানাল্লাহ!

 

আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাহ হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলিম মুবারক ও মু’জিযা শরীফ উনাদের মাধ্যমে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতা মুবারক-এ আর ছিফত হিসেবে সম্মানিত নূর মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির। সুবহানাল্লাহ!



ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ উনার ৮নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি, সৃষ্টি মুবারক করেছি শাহিদ অর্থাৎ সাক্ষ্যদাতা, উপস্থিত, হাযির-নাযির হিসেবে, সুসংবাদদানকারী এবং সতর্ককারীরূপে।” সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারকই হচ্ছেন ‘হাযির-নাযির’। সুবহানাল্লাহ! যেমন- বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফসহ আরো অন্যান্য কিতাবে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত রয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিদায় হজ্জের সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খুৎবা মুবারক উনার শেষে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আপনারা যারা এখানে হাযির বা উপস্থিত রয়েছেন, যারা গায়েব বা অনুপস্থিত উনাদেরকে (আমার নছীহত মুবারকগুলো) পৌঁছিয়ে দিবেন।”

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, এটা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, আলোচ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখিত شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারক হচ্ছেন ‘হাযির-নাযির’। সুবহানাল্লাহ! شَاهِدٌ (শাহিদ) শব্দ মুবারক উনার অর্থ মুবারক যে ‘হাযির-নাযির’ এ বিষয়টি লুগাত বা অভিধান দ্বারাও ছাবিত। আর এটা সকলের জানা রয়েছে যে, যিনি হাযির বা উপস্থিত তিনি নাযির বা প্রত্যক্ষকারী, প্রত্যক্ষদর্শী। অর্থাৎ যিনি হাযির তিনিই নাযির আবার যিনি নাযির তিনিই হাযির। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিশুদ্ধ কিতাব ‘আবূ দাউদ শরীফসহ’ আরো অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি ঐ মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তুমি কোন বিপদে-আপদে পতিত হও তখন তুমি আমাকে স্মরণ করো, তাহলে আমি তোমার বিপদ-আপদ দূর করে দিবো। যখন তোমার জমিনে ফসল হয় না, দূর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তখন তুমি আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমার জমিতে ফসল ফলিয়ে দিবো, দূর্ভিক্ষ দূর করে দিবো। যখন তুমি কোন জনমানবহীন শূন্য স্থানে, (খাল-বিল, নদী-নালা, সমুদ্রে,) নির্জন প্রান্তরে, মরুভূমিতে অথবা বনে, ঝোপ-ঝার, জঙ্গলে থাকো আর তোমার বাহন হারিয়ে যায় বা বাহন না থাকে, তখন তুমি আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমার বাহন ফিরিয়ে দিবো।” সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অসংখ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির এবং কোনো সময় এবং স্থান উনার সম্মানিত উপস্থিতি মুবারক থেকে খালি নয়। যার কারণে কোনো উম্মত যদি জনমানবহীন শূন্য স্থানে, (খাল-বিল, নদী-নালা, সমুদ্রে,) নির্জন প্রান্তরে, মরুভূমিতে অথবা বনে, ঝোপ-ঝার, জঙ্গলে যেখানেই থাকে আর তার বাহন হারিয়ে যায় বা বাহন না থাকে, তখন সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্মরণ করলে তিনি উক্ত উম্মতের বাহন ফিরিয়ে দেন, বাহনের ব্যবস্থা করে দেন, কোনো বিপদে পড়লে বিপদ থেকে উদ্ধার করে দেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাহ হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইলিম মুবারক ও মু’জিযা শরীফ উনাদের মাধ্যমে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত ক্ষমতা মুবারক-এ আর ছিফত হিসেবে সম্মানিত নূর মুবারক ও সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সর্বত্র হাযির-নাযির। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সর্বাধিক বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন পোষণ করা। উনার সীমাহীন বুলন্দী শান মুবারক মনে-প্রাণে মেনে নেয়া।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন