>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪

হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ, ফিলিস্তীন/ গুনাহ থেকে নিজেকে হিফাযত করার পুরষ্কার

 

হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ, ফিলিস্তীন


গুনাহ থেকে নিজেকে হিফাযত করার পুরষ্কার

হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে সবচেয়ে খুবসুরত ছিলেন হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম। আর হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যে খুবসুরত ছিলেন হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

তিনি একবার এক কাফেলার সাথে সফরে বের হলেন। পথিমধ্যে রাত হয়ে যাওয়ায় এক গোত্র প্রধানের বাড়িতে উঠলেন। সেই গোত্র প্রধানের এক মেয়ে ছিল। সে হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দেখে মুগ্ধ হলো এবং উনাকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিলো। পাপ থেকে বাঁচার জন্য হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সেই রাত্রেই সেখান থেকে উঠে পালিয়ে চলে আসলেন। আরব ভূমির পথ উনার চেনা ছিল না। ক্লান্ত শ্রান্ত অবস্থায় তিনি এক মরুভূমিতে এসে পৌঁছলেন। হাঁটুর মধ্যে মাথা রেখে চিন্তা করতে লাগলেন, কি ঘটনা ঘটলো এবং কাফেলার লোকেরাই বা উনার সম্বন্ধে কি ভাববে!

একপর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে গেলেন। স্বপ্নে দেখতে লাগলেন, একজন বুযুর্গ ব্যক্তি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে নিয়ে হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট উপস্থিত হলেন এবং উনাকে সালাম দিলেন। হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, ‘হুযূর! আমি আপনাকে চিনতে পারছি না। কিন্তু আপনার চেহারা সুরত দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই আপনি কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি হবেন।’ বুযুর্গ ব্যক্তির সঙ্গে ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ বললেন, ‘হ্যাঁ, তিনি সম্মানিত নবী হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম। তিনি এসেছেন আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য।’ একথা শুনে হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিনয়ের সাথে বললেন, ‘হুযূর! কি কারণে আপনি আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন? আপনি তো মহান আল্লাহ পাক উনার নবী আর আমি একজন সাধারণ ব্যক্তি।’

হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম বললেন, “হে ব্যক্তি! আমি যেমন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে ইউসুফ, আপনি তেমনি মহান আল্লাহ পাক উনার ওলীগণ উনাদের মধ্যে ইউসুফ। সুবহানাল্লাহ! আজকে আপনার ঘটনা মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে বলেছেন যে, ‘হে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম! আপনি হযরত যুলায়খা আলাইহাস সালাম উনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন; আর এই যে আমার আরেক ইউসুফ, তিনিও এক গোত্র প্রধানের মেয়ের ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে এসেছেন। আপনি উনাকে সুসংবাদ প্রদান করুন তিনি যেন যামানার বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ হযরত যুননুন মিসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে গিয়ে আমার ইসমে আ’যম শিক্ষা করেন এবং মুহাব্বত মা’রিফত অর্জন করেন।” সুবহানাল্লাহ!

যেহেতু হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে গুনাহ থেকে নিজেকে সংবরণ করেছিলেন, তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি খুশি হয়ে পুরস্কারস্বরূপ উনাকে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেছিলেন; আর সেটা হলো মহান আল্লাহ পাক উনার মুহাব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন