>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

পবিত্র ছোহবত মুবারক উনার ফাযায়ীল ,ফযীলত ও গুরুত্ব

পবিত্র ছোহবত মুবারক উনার ফাযায়ীল ,ফযীলত ও গুরুত্ব 


 খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার  পবিত্র সূরা তওবা শরীফ উনার  পবিত্র  ১১৯ নম্বর আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন ,
" হে ঈমানদারগণ ! খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হয়ে যাও । " 
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে , তোমরা ছাদ্বিকীন  বা আল্লাহওয়ালাগণ  উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করো ।  আর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক পালন করা হচ্ছে বান্দাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব উনার অন্তর্ভূক্ত ।  
পবিত্র ছোহবত মুবারক উনার গুরুত্ব  সম্পর্কে বলতে হয় যে , হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম  উনারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার  হাবীব কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক   ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনার পবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন । সেজন্য খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক  তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট । উনাদের সমস্ত আমল আখলাক্ব মুবারক উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট ।  এ প্রসঙ্গে  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদিছ শরীফ " মিশকাত শরীফ , মিরকাত শরীফ ও মাছাবীহুছ সুন্নাহ শরীফ " উনার মধ্যে  নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক   ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  তিনি উনার জবান মুবরকে ইরশাদ মুবারক করেন , 
" হযরত  জাবির  রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  তিনি বর্ণনা করেন ,  খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার  হাবীব কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক   ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার জবান মুবরকে ইরশাদ মুবারক করেন , জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা উনাদেরকে যাঁরা আমাকে দেখেছেন । শুধু তাই নয় যাঁরা আমাকে দেখেছেন উনাদেরে যাঁরা দেখবেন তাদেরকেও জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা । 
সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ! 
এত মর্যাদা উনাদেরকে দেয়া হয়েছে একমাত্র  খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার  হাবীব কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক   ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার  করার কারণে । ঠিক একই ভাবে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার পবিত্র সূরা তওবা শরীফ উনার পবিত্র ১০০ নম্বর আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, 
" মুহাজির ও আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম  উনাদের মধ্যে ঈমান আনয়নে  পূর্ববর্তীদের মধ্যে যাঁরা অগ্রবর্তী উনারা এবং উনদেরকে যাঁরা ( ক্বিয়ামত পর্যন্ত ) উত্তম ভাবে অনুসরণ করবে , উনাদের উপর খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সন্তুষ্ট । উনারাও খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ  পাক উনার উপর সন্তুষ্ট । উনাদের জন্য উনারাও খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ  পাক  তিনি এ রূপ বেহেশত নির্ধারণ রেখেছেন , যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণা প্রবাহিত হতে থাকবে , উনারা সর্বদা বেহেশতের মধ্যে অবস্থান করবেন , এটা উনাদের বড় সফলতা বা কামিয়াবী  । " 
যারা হযরত আনছার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম  উনাদের কে পবিত্র ঈমান উনার  সাথে দেখেছেন উনারাতো অবশ্যই জান্নাতী  । শুধু তাই নয় , ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা উনাদের সাথে তায়াল্লুক  রাখবে, মুহব্বত রাখবে , উনাদেরকে অনুসরণ করবে  উনাদের প্রতিও উনারাও খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ  পাক  রব্বুল আলামীন সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করে দিয়েছেন । 
সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ! 
এত মর্যাদা কারণ ইচ্ছে উনারা একমাত্র  খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার  হাবীব কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক   ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন ।  সে জন্য কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে , খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার  হাবীব কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক   ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিনি ০১ সেকেন্ড  ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন ঈমান উনার সাথে ,ঈমান উনার সাথে জমিনে অবস্থান মুবারক করেছেন  এবং ঈমান উনার সাথে ইন্তিকাল মুবারকও করেছেন উনি হযরত   ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম । উনার মর্যাদা পূর্ববর্তী ও পরব্তী সমস্ত উনারদে চাইতেও বেশি ।
 বলা হয় খইরুত তাবেয়ীন হযরত ওয়ায়িছ  আলকরণী রহমতুল্লাহি আলাইহি । উনার সম্পর্কে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার  হাবীব কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক   ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি  এপ্রসঙ্গে  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদিছ শরীফ বর্ণনা করেছেন । উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন , " হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন , খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার  হাবীব , নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক   ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  তিনি উনার জবান মুবারকে  ইরশাদ মুবারক করেন , আমি শুনেছি , নিশ্চয়ই তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছেন ঐ ব্যক্তি যিনি হযরত ওয়ায়িছ  আলকরণী রহমতুল্লাহি আলাইহি । তিনি ক্বরণ দেশে ছিলেন ।  সেখানে উনার মা ছিলেন । তিনি উনার মা উনার খেদমতের জন্য খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার  হাবীব কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক   ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতে পারেনি । 
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার  হাবীব কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালী উনি ন, ইমামুল মুরসালীন তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক   ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি তোমরা উনার সাক্ষাৎ  পাও , উনাকে বলো , উনি যেন তোাদের জন্য দোয়া করেন ।  উনি  দোয়া  করলে  খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক  তিনি তোমাদের কে কবূল  করে নিবেন ।  ( হিলইয়াতুল আউলিয়া ) 
এত বড় মর্যাদা মর্তবা উনার । উনার মার খিদমতে মশগুল থাকার কারণে  তিনি  খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাৎ মুবারক করতে পারেননি ।  কোনো কোনো বর্ণনায় রয়েছে   উনি  একবার এসেছেন কিন্তু খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাৎ মুবারক পাননি । ফিরে চলে গেছেন । কিন্তু এত মর্যাদা থাকার পরও তিনি একজন তাবেয়ী   রহমতুল্লাহি আলাইহি  হয়েছেন , ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে পারেন নি ।  একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একবার মাত্র তিনি  খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন  উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখেছেন ঈমান উনার সাথে , ঈমান উনার সাথে যমীনে অবস্থান  করেছেন  এবং ঈমান উনার সাথে বিদায়  নিয়েছেন  , উনার মর্যাদা একজন তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে লক্ষ কোটি গুণ বেশী । 
  সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ! 
পবিত্র ছোহবত মুবারক উনার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে শায়েখ সা'দী  রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একটা ঘটনা বর্ণনা করেছেন উনার" গুলেস্তাঁ "   কিতাবের মধ্যে - 
" হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার ছেলে কেনান খারাপ   লোকদের ছোহবত থাকায় নুবুওয়াতী খান্দানের মর্যাদা থেকে বঞ্চি হয়ে জাহান্নামী হলো । আর আছহাবে কাহাফ  উনাদের কুকুর নেককার উনাদের ছোহবত মুবারকে থাকার কারণে মানুষের ছূরতে জান্নাতী হবে । "
সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ! 
অর্থাৎ হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার ছেলে কেনান কাফিরদের ছোহবতে থাকার কারণে নুবুওয়াতী খান্দান হারিয়ে ফেললো । শেষ পর্যন্ত  ঈমান উনাকেও হারালো । অথচ সে নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনার সন্তান । নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনার সন্তান  হওয়ার সত্ত্বেও কাফিরদের ছোহবতের থাকার কারণে নুবুওয়াতী খান্দান হারিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে গেল । 
আর সেই আছহাবে কাহাফ  উনাদের কুকুর যে আছহাবে কাহাফ উনাদের বর্ণনা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে আছে ।  উনাদের সাত জনের সাথে একটা কুকুর  ছিল । যে টাকে উনারা নিতে   প্রথমে রাজি ছিললা । শেষ পর্যন্ত উনাদের মধ্যে যিনি মূল ছিলেন, উনার কথায় কুকুরটাকে নেয়া  হয়েছিল উনাদের  পাহারা দেয়ার জন্য , আপদ বিপদে কাজে লাগানোর জন্য । সে কুকুরটা  উনাদের সাথে ছিল ., এখনও রয়েছে । শায়েখ সা'দী  রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি  এ কথার ব্যাখ্যায় লিখেছেন ., আসহাবে কাহাফ উনারা হযরত ঈসা  আলাইহিস সালাম উনার নেককার উম্মত ।  সেই আছহাবে  কাহাফ উনাদের কুকুরটা উনাদের ছোহবত থাকার  কারণে মানুষ হয়ে গেছে  অর্থাৎ কিয়্বামতের দিন বণী ঈসরাইলের সেই মরদুদ দরবেশ বালাম বিন বাউর সে জাহান্নামী হবে তার ছুরূতে কুকুরটা জান্নাতে যাবে । 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন