>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ফাযায়ীল -ফযীলত, মর্যাদা -মর্ত্তবা ও উনার গুরুত্ব

পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ফাযায়ীল -ফযীলত, মর্যাদা -মর্ত্তবা ও উনার গুরুত্ব

পর্ব--------------০১



 সমস্ত প্রশংসা খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার, যিনি একক,অনন্ত  , অসীম ,চিরজীবি,সর্বশক্তিমান ,সর্বজ্ঞানী, এবং উনার সন্তষ্টি   মুবারক লাভই জিন ও ইনসানের একমাত্র কাম্য। 

আর আমাদের প্রাণের আক্বা, তাজেদারে মদিনা , সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর অনন্তকালের তরে অগণিত ছলাত ও সালাম শরীফ ( দরুদ ও সালাম শরীফ)

সাওম বা রোযা কী? 


রোযা ফার্সী শব্দ । রোযাকে আরবী ভাষায় একবচনে  'সাওম' বহুবচনে সিয়াম বলা হয়  ।  এর আভিধানিক অর্থ  কোনো কিছু থেকে বিরত থাকা বা কোনো কিছু পরিত্যাগ করা । সাওম আমাদের দেশে রোযা হিসেবে পরিচিত । 

শরীয়তের পরিভাষায় সাওম অর্থ সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহর ও যৌনক্রিয়াসহ ( খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক ) নিষিদ্ধ যাবতীয় কাজ থেকে বিরত থাকা ।

সাওমের গুরুত্ব: 


মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মুমিনদের জন্য পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে রোযা বা সাওম ফরয করে দিয়েছেন । অর্থাৎ যারা নিজেদেরকে মুমিন মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিবে তাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে রোযা বা সাওম  পালন করা । পূর্ববর্তী সকল নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উম্মতের জন্যই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তনি সাওম ফর করেছিলেন

আরো পড়ুন পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার ফাযায়ীল -ফযীলত, মর্যাদা -মর্তবা ও উনার গুরুত্ব প্রথম পর্ব

 মুমিনদের জন্য সাওম ফরয করে দিয়ে মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফ উনার পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১৮৩-১৮৪ নং পবিত্র আয়াত শরীফের মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন ,

 
" হে ঈমানদারগণ ! তোমাদের উপর (সিয়াম )রোযা ফরয করা হয়েছে , যেমন করা হয়েছিল তোমাদের পূরবর্তী নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের আনুসারীদের উপর । আশা করা যায় এর দ্বারা তোমাদের মধ্যে তাক্বওয়ার গুণাবলী সৃষ্টি হবে । নির্দিষ্ট  কিছুদিন এ ( সিয়াম )  রোযা পালন করতে হবে । তবে এ সময় তোমাদের কেউ রোগগ্রস্ত হয় অথবা সফররত থাকে , তবে সে অন্য সময় রোযার ( সিয়ামের ) এই সংখ্যা পূর্ণ করবে । আর সামর্থ থাকার সত্ত্বেও যারা রোযা না রাখে , তারা  যেন ফিদিয়া দেয় । একটি রোযার ফিদিয়া একজন মিসকীনকে খাওয়ানো  । আর যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ও সানন্দে কিছু বেশী সৎ কজ করে , তা তার জন্য ভালো । তবে  তোমরা যদি সঠিক বিষয় অনুধাবন কর থাকো , তাহলে তোমাদের জন্য রোযা রাখাই শ্রেয় । " 

অন্যত্র মালিক রব মহান  আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফ উনার পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১৮৫ নং পবিত্র আয়াত শরীফের মধ্যে ইরশাদ মুবারক , " কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এই ( রমাদ্বান শরীফ ) মাসটির সাক্ষাৎ পাবে , তার জন্য সম্পূর্ণ মাস রোযা রাখা অপরিহার্য । "

"বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ  " এর মধ্যে  প্রাণের আক্বা, তাজেদারে মদিনা , সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার জবান মুবারকে ইরশাদ মুবারক করেন , " সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ৫ ( পাঁচ ) টি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত । সে গুলো হলো : ( ০১ ) মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহা নেই এবং   মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন , তাজেদারে মদিনা , রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল - এই সাক্ষ্য দেয়া ।  (০২) নামাজ কায়েম করা , (০৩) যাকাত প্রদান করা ,  (০৪) পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে রোযা রাখা ,(০৫) বাইতুল্লাহ্ বা কা'বা শরীফে গিয়ে হজ্ব করা ।

এখন আমাদের কাছে পরিষ্কার হলো ,  পবিত্র রমাদ্বান উনার মাসে রোযা পালন করা মুমিনদের জন্য -

০১. অপরিহার্য ফরয , লিখিত বিধান ।

০২. সম্পূর্ণ পবিত্র রমাদ্বান মাসের প্রতিদিন  রোযা রাখতে হবে । 

০৩. রোযা পালন সম্মানিত দ্বীন ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম ।

০৪. পবিত্র রমাদ্বান মাসের রোযা অস্বীকার করা কুফরী । 

০৫. পূরবর্তী নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের অনুসারীদের উপরও সাওম বা  রোযা পালন ফরয ছিল ।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন