>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

পবিত্র সুরা ফাতিহা শরীফ উনার ফযীলত

পবিত্র সুরা ফাতিহা শরীফ উনার ফযীলত

 


পবিত্র সুরা ফাতিহা সম্পর্কে   তিরমিযী শরীফ, তাফসীরে মাযহারী    - তে পবিত্র হাদিছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, "এটি এমন এক সুরা শরীফ  যার সমকক্ষ  তাওরাত শরীফ , যাবূর শরীফ , ইনজীল শরীফ এমনকি কুরআন শরীফ   এও  নাযিল হয়নি ।  যাকে  আসসাবউল মাছানী বলা হয় "

এই সুরা শরীফ যদি তাওরাত শরীফে থাকত তাহলে হযরত মুসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উম্মতগন পথভ্রষ্ট হতো না । ইনজীল শরীফ  শরীফে থাকত তাহলে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার উম্মতগন ভুল পথে যেত না । যাবূর কিতাবে থাকলে হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম উনার উম্মতগন  বেপরোয়া হত না । 


এ নাম ব্যতিত সুরা ফাতিহার আরো অনেক নাম আছে  ।  ১০ম হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদুয যামান আল্লামা হযরত ইমাম জলালুদ্দীন সুয়ূতি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার "ইনকান" কিতাবে  ২৫ টি নামের কথা উল্লেখ আছে ।

কতিপয় নাম মুবারক উল্লেখ করা হলো -

* ফাতিহাতুল কিতাব * উম্মুল কুরআন শরীফ * উম্মুল কিতাব *সুরাতুল কানয় * সুরাতূর রহমান *সুরাতূর  মাগফিরাত * 

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন , " সুরা ফাতিহা শরীফ মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের আরোগ্যদানকারী । 

মুসনাদে আহমদ শরীফ , দারিমী শরীফ , শুয়াবুল ঈমান , তাফসীরে মাযহারী - তে বর্ণিত আছে , 

  " উম্মুল কুরআন শরীফ বা সমস্ত কুরআন শরীফ -এর জননী বলা হয়েছে । সমস্ত কুরআন শরীফে যা আছে , মর্মার্থের দিক দিয়ে সুরা ফাতিহা শরীফে তা আছে । সুবহানাল্লাহ ! 

বুখারী শরীফ, তাফসীরে মাযহারী -  তে  উল্লেখ আছে , " সুরা ফাতিহা শরীফ কুরআন শরীফ - এর তিন ভাগের একভাগ ।" 


পৃথিবীর সকল সমুদ্রের পানিকে কালি এবং সমস্ত গাছপালাকে কলমে পরিণত করা হয় আর তা দ্বারা তামাম ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম ও মানুষ একত্রে এই সুরা শরীফ-এর ফযীলত লিখতে চেষ্টা করে তবুও তার একটি ফযীলতও তারা লিখে শেষ করতে পারবেনা ।

এটা জিসমানী ও রুহানী সকল প্রকার রোগের ই ঔষধ । এটা পরে  ফুঁ দিলে যেরুপ জিসমানী রোগ হতে নাজাত পাওয়া যায় , তদ্রুপ বেশী বেশী পড়লে রুহানী  রোগ হতেও নাজাত পাওয়া যায় ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন