পবিত্র সুরা ফাতিহা শরীফ উনার ফযীলত
পবিত্র সুরা ফাতিহা সম্পর্কে তিরমিযী শরীফ, তাফসীরে মাযহারী - তে পবিত্র হাদিছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, "এটি এমন এক সুরা শরীফ যার সমকক্ষ তাওরাত শরীফ , যাবূর শরীফ , ইনজীল শরীফ এমনকি কুরআন শরীফ এও নাযিল হয়নি । যাকে আসসাবউল মাছানী বলা হয় "
এই সুরা শরীফ যদি তাওরাত শরীফে থাকত তাহলে হযরত মুসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উম্মতগন পথভ্রষ্ট হতো না । ইনজীল শরীফ শরীফে থাকত তাহলে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার উম্মতগন ভুল পথে যেত না । যাবূর কিতাবে থাকলে হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম উনার উম্মতগন বেপরোয়া হত না ।
এ নাম ব্যতিত সুরা ফাতিহার আরো অনেক নাম আছে । ১০ম হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদুয যামান আল্লামা হযরত ইমাম জলালুদ্দীন সুয়ূতি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার "ইনকান" কিতাবে ২৫ টি নামের কথা উল্লেখ আছে ।
কতিপয় নাম মুবারক উল্লেখ করা হলো -
* ফাতিহাতুল কিতাব * উম্মুল কুরআন শরীফ * উম্মুল কিতাব *সুরাতুল কানয় * সুরাতূর রহমান *সুরাতূর মাগফিরাত *
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীনা, নুরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন , " সুরা ফাতিহা শরীফ মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের আরোগ্যদানকারী । "
মুসনাদে আহমদ শরীফ , দারিমী শরীফ , শুয়াবুল ঈমান , তাফসীরে মাযহারী - তে বর্ণিত আছে ,
" উম্মুল কুরআন শরীফ বা সমস্ত কুরআন শরীফ -এর জননী বলা হয়েছে । সমস্ত কুরআন শরীফে যা আছে , মর্মার্থের দিক দিয়ে সুরা ফাতিহা শরীফে তা আছে । সুবহানাল্লাহ ! "
বুখারী শরীফ, তাফসীরে মাযহারী - তে উল্লেখ আছে , " সুরা ফাতিহা শরীফ কুরআন শরীফ - এর তিন ভাগের একভাগ ।"
পৃথিবীর সকল সমুদ্রের পানিকে কালি এবং সমস্ত গাছপালাকে কলমে পরিণত করা হয় আর তা দ্বারা তামাম ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম ও মানুষ একত্রে এই সুরা শরীফ-এর ফযীলত লিখতে চেষ্টা করে তবুও তার একটি ফযীলতও তারা লিখে শেষ করতে পারবেনা ।
এটা জিসমানী ও রুহানী সকল প্রকার রোগের ই ঔষধ । এটা পরে ফুঁ দিলে যেরুপ জিসমানী রোগ হতে নাজাত পাওয়া যায় , তদ্রুপ বেশী বেশী পড়লে রুহানী রোগ হতেও নাজাত পাওয়া যায় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন