>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১

হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও মালাউন ইবলিশের মধ্যে কথোপকথন

হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও মালাউন ইবলিশের মধ্যে কথোপকথন

তুর পর্বত

একবার জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সাথে সাক্ষাত হয় মালাউন ইবলীসের । মালাউন ইবলীস বললো, হে হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম!আপনি আপনার রবের  ( মহান আল্লাহ পাকের ) সাথে কথা বলেন,আপনি আপনার রব( মহান আল্লাহ পাক ) কে জিজ্ঞাসা করে দেখুন তো , মহান আল্লাহ পাক আমাকে ক্ষমা করবেন কিনা ? আমি তওবা করতে চাই।
 হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম মনে করলেন ভাল সুযোগ পাওয়া গেছে , কারণ মালাউন ইবলীস যদি হিদায়েত হয়ে যায় তবে সমস্ত উম্মতই হিদায়েত  হয়ে যাবে। তাই হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম মালাউন ইবলীস কে বললেন,তুমি একটু অপেক্ষা কর , আমি এখনই মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা বলে আসছি।
 হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার মুবারকে আরজু মুবারক করলেন - আয় বারে ইলাহী খালিক, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক !ইবলীস তার ভুল বুঝতে পেরেছে , সে তওবা করতে চায়, আপনি তার তওবা কবুল করে তাকে মাফ বা ক্ষমা করে দিন ।
খালিক , মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন , হে হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম ! আমি  অবশ্যই তাকে মাফ কে দিব , তবে তাকে একটি কাজ করতে হবে , আর তা হলো - সে( মালাউন ইবলীস)  যেন আমার ( মহান আল্লাহ পাক) নবী ও রসূল হযরত আদম সফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার কবর শরীফকে সিজদা করে । তবেই আমি( মহান আল্লাহ পাক)  তাকে ক্ষমা করব ।
 হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম এই কথা শুনে খুব খুশি হয়ে গেলেন,এটা তো সহজ কাজ এবার ইবলীস হিদায়েত হয়ে যাবে । এই ভেবে  হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম ইবলীসের নিকট আসলেন এবং বললেন , হে মালাউন ইবলীস !তোমার জন্য সুসংবাদ রয়েছে,তোমাকে মহান আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিবেন , তবে তোমাকে সহজ একটি কাজ করতে হবে । আর তাহলো - তুমি গিয়ে  হযরত আদম সফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার কবর শরীফকে একটি সিজদা দিবে, তবে মহান আল্লাহ পাক তোমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
একথা শুনে অহংকারী ও মালাউন ইবলীস বলে উঠলো , হে হযরত মূসা আলাইহিস সালাম , আপনি বলেন কি? যাকে আমি জীবিত অবস্থায় সিজদাহ করিনি তাকে মৃত অবস্থায় কবরের উপর সিজদাহ করবো? এটা আমার পক্ষে কস্মিনকালেও সম্ভব নয় । নাউজুবিল্লাহ্ । এত সহজ ও সুন্দর সুযোগ দেয়ার পরও ইবলীসের হিদায়েত নছীব হলোনা। কারণ সে অহংকারী ও গোমরাহীর মধ্যে দৃঢ়  ।
যে ব্যক্তি ইবলীসের ন্যায় কিবর বা অহংকারের সমুদ্রের হাবুডুবু খায় এবং ইবলীসের ন্যায় গোমরাহীতে দৃঢ় তাদের হিদায়েত নছীব না হওয়াটাই স্বাভাবিক । তাদেরকে হিদায়েতের পথে আসার জন্য যতই সুযোগ সুবিধা , দলীল-আদিল্লাহ বা যুক্তি প্রদান করা হোক না কেন, তারা কখনোই হিদায়েত গ্রহণ করবেনা।( মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ৮৫তম সংখ্যা ৪৬ ও ৪৭ পৃষ্ঠা)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন