>

*** শাফিউল উমাম,রউফুর রহীম, রহমাতুল্লীল আলামিন , নুরে মুজাসসাম, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সাইয়্যিদে ঈদে আ'যম , সাইয়্যিদে ঈদে আকবর ,কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ বা ঈদে মীলাদে হাবীবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার ফযিলত মুবারক*** *** দুই ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের লাশ মুবারক দ্বিতীয় বার দাফন মুবারক*** *** সম্মানিত মুজাদ্দিদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশুদ্ধ তালিকা*** *** আওলাদে রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে খিদমত মুবারকে যারা আঞ্জাম দিবে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয়কালেই শাফায়াত মুবারক লাভ করবেন।***

শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১

সুন্নতের আমল ব্যতীত আল্লাহ পাকের ওলী হওয়া সম্ভব নয়

সুন্নতের আমল ব্যতীত আল্লাহ পাকের ওলী হওয়া সম্ভব নয় ।



যদি কেউ হক্কানী ওলী হতে চায় , তবে তাকে অবশ্যই সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরণও অনুকরণ করতে হবে । সুন্নতের খেলাফ কাজ করে কেউ হক্কানী ওলী হওয়া সম্ভব নয় । তাই দেখা যায় ওলী আল্লাহ্গণ ভুলবশতঃ বা অনিচ্ছাকৃতভাবেও কোন পবিত্র সুন্নত মুবারক তরক করেছেন ,মহান আল্লাহ পাক সাথে সাথেই উনাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
যেমন এ প্রসঙ্গে কুতুবুল আকতাব হযরত কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত কিতাব " দলীলুল আরেফীন" এর মধ্যে উল্লেখ করেন,সুলত্বানুল হিন্দ  গরীবে নেওয়াজ,হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত  খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমেরী সাঞ্জারী  রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, বিখ্যাত বুযুর্গ সাইয়্যিদুত্ ত্বয়্যিফা হযরত ফুযায়েল বিন আয়াজ  রহমতুল্লাহি আলাইহি একবার ওযু করার সময় হাত ধৌত করতে গিয়ে তিনবারের স্থলে দু'বার ধুয়েছিলেন। রাতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  স্বপ্নে উনাকে বললেন," হে ফুযায়েল বিন আয়াজ ( রহমতুল্লাহি আলাইহি ) ! নিশ্চয়ই আপনি জানেন আমার(হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অবহেলার অর্থ কি?" সাইয়্যিদুত্ ত্বয়্যিফা হযরত ফুযায়েল বিন আয়াজ  রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন ,স্বপ্নে দেখার পর আতঙ্কে উঠে দাঁড়ালাম এবং নতুন করে ওযু করলাম ও পবিত্র সুন্নত মুবারক তরকের প্রায়শ্চিত স্বরুপ এক বছর পর্যন্ত প্রতিদিন পাঁচশত রাকায়াত করে নামাজ পড়া অবশ্য কর্তব্যের মধ্যে রেখেছিলাম। অন্যত্র বর্ণিত আছে , এক বছর নফল রোজা আদায় করেছেন । সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তিনি উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ করেন যে , আমীরুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত  হযরত ইমাম ছুফিওয়ান ছাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি একবার মসজিদে প্রবেশ করার সময় ডান পায়ের স্থলে বাম পা প্রথমে প্রবেশ করালেন , আর সঙ্গে সঙ্গে গায়বী নেদা বা আওয়াজ হলো-" হে ছাওর ( ষাড়) । অর্থাৎ খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়ে দিলেন যে ,আমার( মহান আল্লাহ পাক ) রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নতের খেলাফ আমল করে আমার( মহান আল্লাহ পাক ) ওলী হওয়া সম্ভব নয় ।"
কিতাবে আরো উল্লেখ আছে যে,বিখ্যাত বুযুর্গ হযরত আজল সিরাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি একদিন ওযু করছিলেন , ওযুর মধ্যে হাত ধৌত করার সময় হাতের আঙ্গুল খিলাল করেননি । সাথে সাথে গায়বী আওয়াজ হলো -  হে আজল সিরাজী (  রহমতুল্লাহি আলাইহি ) আপনি আমার ( মহান আল্লাহ পাক) মহব্বতের দাবীদার হয়ে কেন আমার( মহান আল্লাহ পাক) হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সুন্নত মুবারক তরক করলে? এতে হযরত আজল সিরাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি এত ভীত হলেন যে, পরবর্তীতে কখনো আকাশে তাকাননি। এর কারণ জিঙ্গাসা করা হলে তিনি(  হযরত আজল সিরাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি  ) বলেন , ওযুর সময় পবিত্র সুন্নত মুবারক তরক করায় আমার (  হযরত আজল সিরাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি ) প্রতি নেদা করা হয়েছে । তাই আমি (  হযরত আজল সিরাজী রহমতুল্লাহি আলাইহি ) লজ্জায় আকাশের দিকে তাকাই না।
কাজেই বলার আর আপেক্ষা রাখে না যে, যারা প্রতি ক্ষেত্রে প্বিত্র সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ- অনকরণ করেনা বরং অনেক ক্ষেত্রেই ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় দায়েমীভাবে পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার খেলাফ আমল করে। অথচ মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়না । তারা নিশ্চিতরূপে হক্কানী ওলী নয় ।
মূল কথা হলো- মহান আল্লাহ পাক উনার মহব্বত ও খাছ রেযামন্দী হাছিল করতে হলে পবি্ত্র সুন্নত মুবারক উনার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম,পুক্ষ্মানূপুক্ষ্মও পরিপূর্ণ অনুসরণ ও অনুকরণ করতে হবে ।( মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ৮৫তম সংখ্যা ২৫ পৃষ্ঠা)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন