ইমামুল আ’যম, হাকিমুল হাদীছ হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারক-এর একটি ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
একবার তিনি একস্থানে বসে স্বীয় ছাত্রদেরকে দর্স( তালিম) দিচ্ছিলেন। দর্স ( তালিম) প্রদানরত অবস্থায় তিনি কিছুক্ষণ পর পরই দর্স ( তালিম)বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন। যখন দর্স ( তালিম) শেষ হলো, তখন ছাত্ররা প্রশ্ন করলো, “হে হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি! বেয়াদবী ক্ষমা করবেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আপনি বারবার দর্স ( তালিম) বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন, এর পিছনে কি কারণ রয়েছে?
উত্তরে ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন যে, “তোমরা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছো যে, আমাদের দরসগাহের পাশেই কিছু ছোট ছেলেরা দৌড়াদৌড়ি করছিলো। তন্মধ্যে অমুক ছেলেটি বার বার আমার নিকটবর্তী হলেই আমি দাঁড়িয়ে যেতাম।”
ছাত্ররা জানতে চাইলো, সেই ছোট ছেলেটি আপনার নিকটবর্তী হলে কেনো দাঁড়িয়ে যেতেন?
তখন ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন যে, “দেখ, সেই ছেলেটি আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশধর। উনার সাথে রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রক্ত মুবারক-উনার সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য যখনই তিনি আমাদের দর্সগাহের নিকটবর্তী হয়েছেন তখনই আমি উনার সম্মানার্থে দাঁড়িয়েছি। কেননা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীম ও সম্মান প্রদর্শন করা ঈমানের অঙ্গ তথা আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশ।” সুবহানাল্লাহ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন