খালিছভাবে তওবা করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার প্রিয়তম হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা অত্যন্ত খুশি হন। গুনাহ-খতা ক্ষমা করেন। এমনকি গুনাহগুলোকে নেকীতে পরিণত করে দেন। নৈকট্য দেন, সন্তুষ্টি, রেযামন্দি দেন। মাহবুব বান্দায় পরিণত করেন। আর ওলীআল্লাহগণ উনাদের নিসবত, তাওয়াল্লুক দান করেন। কাজেই একথা অনস্বীকার্য যে, তওবা-ইস্তিগফার দ্বারা সবচেয়ে বেশি নৈকট্য হাছিল হয়। সুবহানাল্লাহ!
‘তওবা’ অর্থ: ফিরে আসা, অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকা, অনুতপ্ত হওয়া।
মুজাদিদ্দে যামান, হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুর্শিদুল আমীন’ কিতাবে উল্লেখ করেছেন, “বর্তমানে গুনাহ ছেড়ে দেয়া, ভবিষ্যতে আর গুনাহ না করার দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়া এবং অতীত কাজসমূহের ক্ষতিপূরণ করার নামই তওবা।” আর ইস্তিগফার অর্থ হচ্ছে- ক্ষমা প্রার্থনা করা।
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- “আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে আদম সন্তান! যতক্ষণ তুমি আমাকে ডাকবে এবং আমার ক্ষমার আশা রাখবে ততক্ষণ আমি তোমাকে ক্ষমা করতেই থাকবো। তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন। আমি কাউকে পরওয়া করি না। সুবহানাল্লাহ! হে আদম সন্তান! তোমার গুনাহ যদি আকাশচুম্বী হয়, অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করবো। আমি কারো পরওয়া করি না। সুবহানাল্লাহ! হে আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার সাক্ষাৎ করো এবং আমার সাথে কাউকে শরীক না করো, তাহলে আমি পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার নিকট উপস্থিত হবো।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
রঈসুল মুফাসসিরীন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সবসময় ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার সকল সংকীর্ণতা দূর করে প্রশস্ততা দান করেন। তাকে সমস্ত চিন্তা মুক্ত করে আনন্দিত করেন। আর এমন স্থান হতে রিযিক দান করেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না। সুবহানাল্লাহ! (আহমদ, আবু দাউদ শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক আদম সন্তানই গুনাহগার। তবে গুনাহগারদের মধ্যে উত্তম ঐ ব্যক্তি যে তওবা করে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাযাহ শরীফ)
প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- অধিক পরিমাণে প্রতিদিন ইস্তেগফার ও তওবা করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা যেন মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থে আমাদেরকে অধিক পরিমাণে ইস্তেগফার তওবা করার তাওফীক দান করেন। আমীন!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন